tags

New bengali Status, Photo, Video

Find the latest Status about bengali from top creators only on Nojoto App. Also find trending photos & videos about bengali.

  • Latest
  • Popular
  • Video

বসন্ত কে ব্যস্ত হয়ে যেতে বিনোদিনী কাঁধ থেকে মাথাটা সড়িয়ে নেয়। বসন্ত কিছুটা এগিয়ে গিয়ে কথা বলে কিন্তু বিনোদিনী বুঝতে পারে এটা বসন্ত সাধারণ ভাবে কথা বলছে না। ওর মুখে অন্য একটা ভাব। ফোন রেখে দিয়ে বিনোদিনীর পাসে এসে বসল বসন্ত। --"কি হয়েছে?" বিনোদিনী একটু কাছে এগিয়ে জিজ্ঞাসা করল। --"ঐশানি বলে আমার এক কলিগ। পছন্দ করে আমাকে।" কথাটা শুনে আতকে উঠল বিনোদিনী কিন্তু মুখে কিছু নেই। --"আমি স্পষ্ট বলেছি কি আমার সেরকম কোনো ফিলিংস নেই ওর জন্য একটা ভালো বন্ধু ছাড়া। আজ বলেছিল দেখা করতে। আমি কোনো কমিটমেন্ট দেইনি কিন্তু আমার ফেসবুক পোস্ট দেখে আমাকে কল করে দশটা কথা বলছে। ওর এই সন্দেহবাতিক মনোবৃত্তি আমার ভালো লাগে না।" --"তাহলে তোর কি ভালো লাগে?" বিনোদিনীর কথা শেষ হতে শুরু হলো ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। নিজের ঘড়ি আর মোবাইল বিনোদিনী কে দিয়ে বসন্ত চলে গেলে বৃষ্টির মাঝে। বসন্তের আগাগোড়া বৃষ্টি পছন্দ। বিনোদিনীর মানা করাতেও শোনেনি। একটু পরে বিনোদিনী টেনে নিয়ে আসল সিড়ির দিকে। --"কোনো কথা শুনিস না আমার।" বিনোদিনী সাড়ির আঁচল দিয়ে বসন্তের মাথা আর মুখ মুছিয়ে দিল। বসন্ত যখন নিজের চুল ঝাড়ছে তখন বিনোদিনীর চোখ আটকে গেল বসন্তের শরীর থেকে গড়ানো জলের ওপর। প্রত্যেক জলের বিন্দু জায়গা নিচ্ছে ওর ভিজে যাওয়া শার্টের মধ্যে। বিনোদিনী নিজেকে সংযত করে বসন্ত কে ওর মোবাইল আর ঘড়ি দিয়ে দিল। বিনোদিনী নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার কথা ভেবে বাস স্টপে দাড়ায়। --"চল। আবার দেখা হবে।" বিনোদিনী এইটা বলে বসন্ত কে বিদায় দিল। হঠাৎ বসন্তর চোখ পরে একটা লোকের ওপর যে বিনোদিনীর পিছনে উঠল। বিনোদিনী প্রায় অনেকটা ভিজে গেছে আর লোকটার নজর বার বার বিনোদিনীর দিকেই। বসন্ত চলন্ত বসে উঠে গিয়ে বিনোদিনীর পিছনে দাড়িয়ে গেল। --"তুই উঠলি কেনো?" "তোকে বাড়ি ছেড়ে দিয়ে ফিরে যাব।" বসন্তর কন্ঠস্বর গম্ভীর আর এটার কারণ বিনোদিনী বুঝেছে। লোকটার আরেকবার দেখতে বসন্ত ওর দিকেই তাকাল তীক্ষ্ণ দৃষ্টি তে। প্রথম বার বসন্ত ঈর্ষা অনুভব করল তবে এটা বন্ধুত্বের নয়। অন্য কিছু। বিনোদিনীর পাশে এসে দাড়াল বসন্ত। বসে যত চোখ বিনোদিনী কে দেখছে, সেই প্রতিটি চোখ আর ওর দিকে তাকায়নি। বিনোদিনী বসন্তের চোখে আজ অন্য এক ছেলে কে দেখছে। বসন্ত বিনোদিনীর পিঠে লাগা জল মুছিয়ে দিয়ে আঁচল টা ওর কোমরে রেখে নিজের দিকে টানল। আচমকা এই টানে বিনোদিনী খুব কাছে এসে গিয়ে দাঁড়ায়। বিনোদিনীর একটা হাতে বসন্তর শার্ট ধরে রেখেছে, সামান্য থেকে একটু বেশি জোরে মুঠো করে। বসন্তর নিঃশ্বাস সামান্য নয়। ও এই উথাল পাথালের মাঝে বয়ে যাচ্ছে আর বিনোদিনীর ঘাড়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে বসন্তর সেই অনিয়ন্ত্রিত নিঃশ্বাস। বসের ঠেলায় বসন্ত আরও জোরে ধরে রেখেছে তাকে, হাত কোমরে ঢাকা। সহসা দুজনের চোখাচোখি হল। ঘাম আর জলে বিনোদিনীর চেহারা মেখে গেছে। বসন্ত আস্তে করে ওর চেহারা মুছে দিল। বিনোদিনী চোখ বন্ধ করে ফেলেছে। বসন্তর হাতের ছোঁয়া ওকে পাগল করে দিচ্ছে। বিনোদিনী আঁকড়ে ধড়ল বসন্ত কে আরও জোরে। ©Ananta Dasgupta

#anantadasgupta #FriendshipDay #bengaliwriter #bengalistory #Quotes  বসন্ত কে ব্যস্ত হয়ে যেতে বিনোদিনী কাঁধ থেকে মাথাটা সড়িয়ে নেয়। বসন্ত কিছুটা এগিয়ে গিয়ে কথা বলে কিন্তু বিনোদিনী বুঝতে পারে এটা বসন্ত সাধারণ ভাবে কথা বলছে না। ওর মুখে অন্য একটা ভাব। ফোন রেখে দিয়ে বিনোদিনীর পাসে এসে বসল বসন্ত। 

--"কি হয়েছে?" বিনোদিনী একটু কাছে এগিয়ে জিজ্ঞাসা করল।
--"ঐশানি বলে আমার এক কলিগ। পছন্দ করে আমাকে।" কথাটা শুনে আতকে উঠল বিনোদিনী কিন্তু মুখে কিছু নেই। 
--"আমি স্পষ্ট বলেছি কি আমার সেরকম কোনো ফিলিংস নেই ওর জন্য একটা ভালো বন্ধু ছাড়া। আজ বলেছিল দেখা করতে। আমি কোনো কমিটমেন্ট দেইনি কিন্তু আমার ফেসবুক পোস্ট দেখে আমাকে কল করে দশটা কথা বলছে। ওর এই সন্দেহবাতিক মনোবৃত্তি আমার ভালো লাগে না।"

--"তাহলে তোর কি ভালো লাগে?" বিনোদিনীর কথা শেষ হতে শুরু হলো ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। নিজের ঘড়ি আর মোবাইল বিনোদিনী কে দিয়ে বসন্ত চলে গেলে বৃষ্টির মাঝে। বসন্তের আগাগোড়া বৃষ্টি পছন্দ। বিনোদিনীর মানা করাতেও শোনেনি। একটু পরে বিনোদিনী টেনে নিয়ে আসল সিড়ির দিকে।

--"কোনো কথা শুনিস না আমার।" বিনোদিনী সাড়ির আঁচল দিয়ে বসন্তের মাথা আর মুখ মুছিয়ে দিল। বসন্ত যখন নিজের চুল ঝাড়ছে তখন বিনোদিনীর চোখ আটকে গেল বসন্তের শরীর থেকে গড়ানো জলের ওপর। প্রত্যেক জলের বিন্দু জায়গা নিচ্ছে ওর ভিজে যাওয়া শার্টের মধ্যে। বিনোদিনী নিজেকে সংযত করে বসন্ত কে ওর মোবাইল আর ঘড়ি দিয়ে দিল। বিনোদিনী নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার কথা ভেবে বাস স্টপে দাড়ায়। 

--"চল। আবার দেখা হবে।" বিনোদিনী এইটা বলে বসন্ত কে বিদায় দিল। হঠাৎ বসন্তর চোখ পরে একটা লোকের ওপর যে বিনোদিনীর পিছনে উঠল। বিনোদিনী প্রায় অনেকটা ভিজে গেছে আর লোকটার নজর বার বার বিনোদিনীর দিকেই। বসন্ত চলন্ত বসে উঠে গিয়ে বিনোদিনীর পিছনে দাড়িয়ে গেল। 
--"তুই উঠলি কেনো?"

"তোকে বাড়ি ছেড়ে দিয়ে ফিরে যাব।" বসন্তর কন্ঠস্বর গম্ভীর আর এটার কারণ বিনোদিনী বুঝেছে। লোকটার আরেকবার দেখতে বসন্ত ওর দিকেই তাকাল তীক্ষ্ণ দৃষ্টি তে। প্রথম বার বসন্ত ঈর্ষা অনুভব করল তবে এটা বন্ধুত্বের নয়। অন্য কিছু। বিনোদিনীর পাশে এসে দাড়াল বসন্ত। বসে যত চোখ বিনোদিনী কে দেখছে, সেই প্রতিটি চোখ আর ওর দিকে তাকায়নি। বিনোদিনী বসন্তের চোখে আজ অন্য এক ছেলে কে দেখছে। বসন্ত বিনোদিনীর পিঠে লাগা জল মুছিয়ে দিয়ে আঁচল টা ওর কোমরে রেখে নিজের দিকে টানল। 

আচমকা এই টানে বিনোদিনী খুব কাছে এসে গিয়ে দাঁড়ায়। বিনোদিনীর একটা হাতে বসন্তর শার্ট ধরে রেখেছে, সামান্য থেকে একটু বেশি জোরে মুঠো করে। বসন্তর নিঃশ্বাস সামান্য নয়। ও এই উথাল পাথালের মাঝে বয়ে যাচ্ছে আর বিনোদিনীর ঘাড়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে বসন্তর সেই অনিয়ন্ত্রিত নিঃশ্বাস। বসের ঠেলায় বসন্ত আরও জোরে ধরে রেখেছে তাকে, হাত কোমরে ঢাকা। সহসা দুজনের চোখাচোখি হল। ঘাম আর জলে বিনোদিনীর চেহারা মেখে গেছে। বসন্ত আস্তে করে ওর চেহারা মুছে দিল। বিনোদিনী চোখ বন্ধ করে ফেলেছে। বসন্তর হাতের ছোঁয়া ওকে পাগল করে দিচ্ছে। বিনোদিনী আঁকড়ে ধড়ল বসন্ত কে আরও জোরে।

©Ananta Dasgupta

--একটা কানের দুল, এক কাপ চা, একটা একটা নুপুর, একটা গল্পের বই আর একটা গোলাপ। --"হ্যাঁ রে! তুই জীবনে আজ ওবধি কখনো গোলাপ নিয়েছিস আমার থেকে!" --"জীবনে আমি ভাবিনি তুই অবুঝ রয়ে যাবি, কিন্তু তুই আছিস তো এখনও।" বিনোদিনীর দিকে একটু কটু ভাবে তাকিয়ে তার পর এগিয়ে পড়ল তারা হাত ধরে কলকাতার ভিজে রাস্তায়। হালকা হাওয়া, চকচকে রোদ আর গরম চা আবার ফিরিয়ে নিয়ে এল দুজনকে পুরোনো গল্পের বাজারে। এখন তাদের কাছে আছে ঝুড়ি ঝুড়ি গল্প। সেই গল্পের মাঝখান দিয়ে কেটে গেল অনেকটা সময়। বিনোদিনী কে নিয়ে গেল একটা মলে যেখানে ওর জন্য একটা সাড়ি কিনল। নীল রং বিনোদিনীর প্রিয়। বসন্তের দিকে তাকিয়ে হাসল আর কিছুক্ষণের পর বেড়িয়ে আসল সাড়ি পরে। বসন্ত ভাবল একটা সিটি মারবে কিন্তু বিনোদিনী চোখ বড় করে আগেই বারণ করে দেয়। --"কি মাল লাগছে তোকে দেখতে!" বসন্তের কথা শুনে মাথায় টোকা মাড়ল বিনোদিনী। --"ইশ! কি ভাষা এইসব, ছোটোলোক।" --"সরি সরি। মানে সুন্দর লাগছে। একটু স্লিপ হয়ে গেছি।" --"সেই! সব জানি তোমার স্লিপ হওয়া।" মুখ ভেংচি কেটে বিনোদিনী বেড়িয়ে গেল। বসন্ত সবকিছু কিনল গোলাপ ছাড়া। বিনোদিনী এটা লক্ষ্য করেছে কিন্তু কিছু বলল না। এত দিন ধরে ও নিজের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু কে দেখা করার জন্য ডাকছিল কিন্তু সেই ছেলেটা এখন প্রিয় বন্ধু থেকে প্রিয় মানুষ হয়ে গেছে আর সমস্যা এটা কি বিনোদিনী এটা জেনেও নিজের বুকে অনেক কিছু চেপে রেখেছে এত বছর ধরে। সমস্ত গল্পের পর দুজনে এসে বসল আহিরীটোলা ঘাটে। ব্যাগ গুলো রেখে বিনোদিনী একবার ঘড়ির দিকে তাকাল। এবার তো ফিরতে হবে। কে জানে পরে কবে দেখা হবে। যদি নাও হয়, কথাও তো সেরকম হবে না। --"ওই! কোন গভীর চিন্তায় চলে গেলি?" মুখের সামনে তুরি মেরে বসন্ত টেনে আনল বিনোদিনী কে বাস্তবতায়। --"না। কিছু না।" --"ও আচ্ছা আচ্ছা! তবে রাস্তা পার হওয়ার সময় চোখের জল মুচ্ছিলিস কেন? সেটাও কি এমনি?" বিনোদিনী অবাক তো হয়েছে কিন্তু প্রকাশ করেনি। নিজেকে চাপা রাখার চেষ্টায় খুব ভালো ভাবে সফল হতে পেরেছে। --"ধুর! ওরকম কিছুই না।" বিনোদিনীর উত্তরে পর বসন্ত আর কিছু বলল না। বিনোদিনীর মনে হল হয়তো একবার বসন্ত কে বলে দিক। অন্তত এই যুদ্ধ বন্ধ হবে ওর মনের মধ্যে। সে বলতে যাবে তখন বসন্তের কাছে একটা কল এল। মোবাইল স্ক্রিনে নাম দেখাচ্ছে "ঐশানি কলিং"। ©Ananta Dasgupta

#anantadasgupta #FriendshipDay #bengaliwriter #bengalistory #Quotes  --একটা কানের দুল, এক কাপ চা, একটা একটা নুপুর, একটা গল্পের বই আর একটা গোলাপ। 
--"হ্যাঁ রে! তুই জীবনে আজ ওবধি কখনো গোলাপ নিয়েছিস আমার থেকে!"
--"জীবনে আমি ভাবিনি তুই অবুঝ রয়ে যাবি, কিন্তু তুই আছিস তো এখনও।" বিনোদিনীর দিকে একটু কটু ভাবে তাকিয়ে তার পর এগিয়ে পড়ল তারা হাত ধরে কলকাতার ভিজে রাস্তায়। 

হালকা হাওয়া, চকচকে রোদ আর গরম চা আবার ফিরিয়ে নিয়ে এল দুজনকে পুরোনো গল্পের বাজারে। এখন তাদের কাছে আছে ঝুড়ি ঝুড়ি গল্প। সেই গল্পের মাঝখান দিয়ে কেটে গেল অনেকটা সময়। বিনোদিনী কে নিয়ে গেল একটা মলে যেখানে ওর জন্য একটা সাড়ি কিনল। নীল রং বিনোদিনীর প্রিয়। বসন্তের দিকে তাকিয়ে হাসল আর কিছুক্ষণের পর বেড়িয়ে আসল সাড়ি পরে। বসন্ত ভাবল একটা সিটি মারবে কিন্তু বিনোদিনী চোখ বড় করে আগেই বারণ করে দেয়। 

--"কি মাল লাগছে তোকে দেখতে!" বসন্তের কথা শুনে মাথায় টোকা মাড়ল বিনোদিনী। 
--"ইশ! কি ভাষা এইসব, ছোটোলোক।"
--"সরি সরি। মানে সুন্দর লাগছে। একটু স্লিপ হয়ে গেছি।"
--"সেই! সব জানি তোমার স্লিপ হওয়া।" মুখ ভেংচি কেটে বিনোদিনী বেড়িয়ে গেল। বসন্ত সবকিছু কিনল গোলাপ ছাড়া। বিনোদিনী এটা লক্ষ্য করেছে কিন্তু কিছু বলল না। এত দিন ধরে ও নিজের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু কে দেখা করার জন্য ডাকছিল কিন্তু সেই ছেলেটা এখন প্রিয় বন্ধু থেকে প্রিয় মানুষ হয়ে গেছে আর সমস্যা এটা কি বিনোদিনী এটা জেনেও নিজের বুকে অনেক কিছু চেপে রেখেছে এত বছর ধরে। 

সমস্ত গল্পের পর দুজনে এসে বসল আহিরীটোলা ঘাটে। ব্যাগ গুলো রেখে বিনোদিনী একবার ঘড়ির দিকে তাকাল। এবার তো ফিরতে হবে। কে জানে পরে কবে দেখা হবে। যদি নাও হয়, কথাও তো সেরকম হবে না।

--"ওই! কোন গভীর চিন্তায় চলে গেলি?" মুখের সামনে তুরি মেরে বসন্ত টেনে আনল বিনোদিনী কে বাস্তবতায়। 
--"না। কিছু না।" 
--"ও আচ্ছা আচ্ছা! তবে রাস্তা পার হওয়ার সময় চোখের জল মুচ্ছিলিস কেন? সেটাও কি এমনি?" বিনোদিনী অবাক তো হয়েছে কিন্তু প্রকাশ করেনি। নিজেকে চাপা রাখার চেষ্টায় খুব ভালো ভাবে সফল হতে পেরেছে। 
--"ধুর! ওরকম কিছুই না।" বিনোদিনীর উত্তরে পর বসন্ত আর কিছু বলল না। 

বিনোদিনীর মনে হল হয়তো একবার বসন্ত কে বলে দিক। অন্তত এই যুদ্ধ বন্ধ হবে ওর মনের মধ্যে। সে বলতে যাবে তখন বসন্তের কাছে একটা কল এল। মোবাইল স্ক্রিনে নাম দেখাচ্ছে "ঐশানি কলিং"।

©Ananta Dasgupta

আজ বৃষ্টি থামার নাম নেই। এদিকে বিনোদিনী বসন্ত কে বলে দিয়েছে যে আজ না দেখা করলে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ আজই হয়ে যাবে। বিধাননগর স্টেশনে দাঁড়িয়ে বিনোদিনী অপেক্ষা করছে আর ফোনে ঘাঁটছে কিছু পুরোনো স্মৃতি। বিনোদিনী আর বসন্ত কলজের সময় থেকে বন্ধু। আজ ওরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে ভালো জায়গায় কাজ পেয়েছে। ওদের প্রথম দেখাটা হয়ে ফ্রেন্ডশিপ ডে তেই আর খুব অযুক্তিকর এক ঝগড়া দিয়ে। বোধহয় সেই ঝগড়াই ভিত গড়ে দিয়েছিল তাদের বন্ধুত্বের। আজ ৫ বছর হলো তাদের এই সম্পর্কের। কলেজে দুজনকে কখনো আলাদা দেখাই যেত না। যেখানে বিনোদিনী সেখানেই বসন্ত। সময় কাটতে কাটতে বসন্তের জন্য বিনোদিনী হয়ে গেল বিনোদ আর বসন্ত আসলেই বিনোদিনীর খুব বাজে গলায় একটা গান- "বসন্ত এসে গেছে!" কিন্তু এই উপনাম গুলো অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। তাহলে সেটাই তার শেষ দিন। দুজনের কথা কম, ঝগড়া, মারপিট, খুনসুটি বেশি হত। দুজনের মতের কোনো মিল নেই, তাও গলায় গলায় বন্ধুত্ব। চায়ের আড্ডা, গল্পের বাজার, বাউণ্ডুলের মত ঘোরা আর একে অপরের পাশাপাশি থাকা। এইটুকুই ছিল দুজনের পৃথিবী। সবাই বুঝে গেছিল ওদের বন্ধুত্বের তিনটে ধাপ। প্রথম, যখন ওরা নিজেকে উপনাম দিয়ে ডাকছে যার মানে সবকিছু বেশ ভালোই চলছে। দ্বিতীয়, যখন ওরা একে অপরকে নিজের নাম ধরে ডাকছে যার মানে দুজনের অভিমান হয়েছে। তৃতীয় আর সবথেকে ভয়াবহ হলো যদি ওরা পরস্পরের নামের আগে মিস্টার বা মিস বলে সম্বোধন করল তাহলে ব্যপার প্রচুর বাজে একটা জায়গায় চলে গেছে। এই তৃতীয় ধাপটা ওদের জীবনে শুধু দুবারই এসেছে। একবার তো বিনোদিনীর মাকে মিল করাতে হলো আর একবার বিনোদিনীর আচমকা পরে যেতে ছুটে দৌড়ে ছিল বসন্ত। সেই দিন বিনোদিনী বন্ধু থেকে এক পা এগিয়ে গিয়ে প্রথম বার আলাদা একটা অনুভূতি তে জড়িয়ে ছিল। সে একটা আলাদা আনন্দ, একটা মিষ্টি কান্না। সময় ফুড়িয়ে যায় আর কলেজ শেষ হয়। বিনোদিনী ভেবেছিল এক দিন বসন্ত কে নিজের মনের কথা বলে দেবে কিন্তু বসন্ত কে দেখে ওর কখনো মনেই হয়নি কি সেও এরকম কিছু অনুভব করে কি না। মুখ বুজে বন্ধু রয়ে গেল বিনোদিনী। হয়তো ভয় ছিল, মনের কথা বললে যদি বসন্ত পিছিয়ে যায়। হয়তো সেটা সহ্য করতে পারবে না বিনোদিনী। বসন্ত ছাড়া ওর সেরকম কোনো বন্ধু নেই। আজ নতুন জায়গায় চাকরি পাওয়ার পরে বিনোদিনীর সার্কেল অনেক বড় কিন্তু মনের কথা বলার জন্য মানুষ নেই। বসন্তের সাথেও খুব একটা কথা হয় না ওর। দুজনে আশা রাখে, দুজনেই যেন ভালো থাকুক। কিন্তু ভালোর আশা রাখার থেকে ভালো করে রাখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ©Ananta Dasgupta

#anantadasgupta #FriendshipDay #bengaliwriter #bengalistory #Quotes  আজ বৃষ্টি থামার নাম নেই। এদিকে বিনোদিনী বসন্ত কে বলে দিয়েছে যে আজ না দেখা করলে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ আজই হয়ে যাবে। বিধাননগর স্টেশনে দাঁড়িয়ে বিনোদিনী অপেক্ষা করছে আর ফোনে ঘাঁটছে কিছু পুরোনো স্মৃতি। 

বিনোদিনী আর বসন্ত কলজের সময় থেকে বন্ধু। আজ ওরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে ভালো জায়গায় কাজ পেয়েছে। ওদের প্রথম দেখাটা হয়ে ফ্রেন্ডশিপ ডে তেই আর খুব অযুক্তিকর এক ঝগড়া দিয়ে। বোধহয় সেই ঝগড়াই ভিত গড়ে দিয়েছিল তাদের বন্ধুত্বের। আজ ৫ বছর হলো তাদের এই সম্পর্কের। কলেজে দুজনকে কখনো আলাদা দেখাই যেত না। যেখানে বিনোদিনী সেখানেই বসন্ত। সময় কাটতে কাটতে বসন্তের জন্য বিনোদিনী হয়ে গেল বিনোদ আর বসন্ত আসলেই বিনোদিনীর খুব বাজে গলায় একটা গান- "বসন্ত এসে গেছে!"

কিন্তু এই উপনাম গুলো অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। তাহলে সেটাই তার শেষ দিন। দুজনের কথা কম, ঝগড়া, মারপিট, খুনসুটি বেশি হত। দুজনের মতের কোনো মিল নেই, তাও গলায় গলায় বন্ধুত্ব। চায়ের আড্ডা, গল্পের বাজার, বাউণ্ডুলের মত ঘোরা আর একে অপরের পাশাপাশি থাকা। এইটুকুই ছিল দুজনের পৃথিবী। সবাই বুঝে গেছিল ওদের বন্ধুত্বের তিনটে ধাপ। প্রথম, যখন ওরা নিজেকে উপনাম দিয়ে ডাকছে যার মানে সবকিছু বেশ ভালোই চলছে। দ্বিতীয়, যখন ওরা একে অপরকে নিজের নাম ধরে ডাকছে যার মানে দুজনের অভিমান হয়েছে। তৃতীয় আর সবথেকে ভয়াবহ হলো যদি ওরা পরস্পরের নামের আগে মিস্টার বা মিস বলে সম্বোধন করল তাহলে ব্যপার প্রচুর বাজে একটা জায়গায় চলে গেছে। এই তৃতীয় ধাপটা ওদের জীবনে শুধু দুবারই এসেছে। একবার তো বিনোদিনীর মাকে মিল করাতে হলো আর একবার বিনোদিনীর আচমকা পরে যেতে ছুটে দৌড়ে ছিল বসন্ত। 

সেই দিন বিনোদিনী বন্ধু থেকে এক পা এগিয়ে গিয়ে প্রথম বার আলাদা একটা অনুভূতি তে জড়িয়ে ছিল। সে একটা আলাদা আনন্দ, একটা মিষ্টি কান্না। সময় ফুড়িয়ে যায় আর কলেজ শেষ হয়। বিনোদিনী ভেবেছিল এক দিন বসন্ত কে নিজের মনের কথা বলে দেবে কিন্তু বসন্ত কে দেখে ওর কখনো মনেই হয়নি কি সেও এরকম কিছু অনুভব করে কি না। মুখ বুজে বন্ধু রয়ে গেল বিনোদিনী। হয়তো ভয় ছিল, মনের কথা বললে যদি বসন্ত পিছিয়ে যায়। হয়তো সেটা সহ্য করতে পারবে না বিনোদিনী। বসন্ত ছাড়া ওর সেরকম কোনো বন্ধু নেই। আজ নতুন জায়গায় চাকরি পাওয়ার পরে বিনোদিনীর সার্কেল অনেক বড় কিন্তু মনের কথা বলার জন্য মানুষ নেই। বসন্তের সাথেও খুব একটা কথা হয় না ওর। দুজনে আশা রাখে, দুজনেই যেন ভালো থাকুক। কিন্তু ভালোর আশা রাখার থেকে ভালো করে রাখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

©Ananta Dasgupta

White লুকিয়ে আছে কত আশা এই চাঁদের দিকে তাকিয়ে। প্রতিটি দিন শেষ করছে ভেতরে একটা সংসার লুকিয়ে। অনেক বার দাঁড়ায়, চারিদিক দেখে, আবার হাঁটে। অগোছালো ভাবনা নিয়ে মানুষ যায় এগিয়ে। একই প্রশ্ন করে বার বার নিজেকে আজ তো হয়ে গেল, কালকে সামলাবে কে? মন আনমনা করে সমস্ত অনুভূতি এক জায়গায় রেখে দেয়। ক্লান্ত দেহ, ক্লান্ত নিঃশ্বাস, ক্লান্ত চোখের সঙ্গী হয় ক্লান্ত হৃদয়। কোনো দিন হয়তো এমন হবে, আর কিছু মনে হবেনা। ঠিক যেমন অবশ হয়ে যায় শরীরের কোনো অংশ। সেই চাঁদ থাকবে, সেই ভিড় থাকবে, সেই ক্লান্ত চোখ থাকবে পার্থক্য থাকবে সেই একটা জায়গার যা হয়ে গেছে ধংস। শান্ত হয়ে যাবে মানুষ তখন ভেতরের যুদ্ধ থেকে নিরবতা পালন করবে দু মিনিটের নিজেকেই শেষ করে। ©Ananta Dasgupta

#bengaliwriting #bengaliquotes #BengaliPoem #Sad_shayri  White লুকিয়ে আছে কত আশা এই চাঁদের দিকে তাকিয়ে।
প্রতিটি দিন শেষ করছে ভেতরে একটা সংসার লুকিয়ে। 
অনেক বার দাঁড়ায়, চারিদিক দেখে, আবার হাঁটে। 
অগোছালো ভাবনা নিয়ে মানুষ যায় এগিয়ে। 
একই প্রশ্ন করে বার বার নিজেকে
আজ তো হয়ে গেল, কালকে সামলাবে কে? 
মন আনমনা করে সমস্ত অনুভূতি এক জায়গায় রেখে দেয়। 
ক্লান্ত দেহ, ক্লান্ত নিঃশ্বাস, ক্লান্ত চোখের সঙ্গী হয় ক্লান্ত হৃদয়। 
কোনো দিন হয়তো এমন হবে, আর কিছু মনে হবেনা। 
ঠিক যেমন অবশ হয়ে যায় শরীরের কোনো অংশ। 
সেই চাঁদ থাকবে, সেই ভিড় থাকবে, সেই ক্লান্ত চোখ থাকবে
পার্থক্য থাকবে সেই একটা জায়গার যা হয়ে গেছে ধংস। 
শান্ত হয়ে যাবে মানুষ তখন ভেতরের যুদ্ধ থেকে
নিরবতা পালন করবে দু মিনিটের নিজেকেই শেষ করে।

©Ananta Dasgupta

White বিচ্ছেদ মিটিয়ে যখন তুমি এসেছিলে, মনের মধ্যে শান্তির সৃষ্টি হয়েছিল। অনেক কথা, অনেক ভালোবাসা নিয়ে, আমাদের জীবন জ্যোৎস্নায় ভরেছিল। একই সময় দাড়িয়ে দেখতাম চাঁদের আলো একই কথা না জানি কত বার বলতাম, শুনতাম। তোমার আসা জীবন দিয়ে গেয়েছিল। কিন্তু রাতের চাঁদ দিনের আলোয় টেকেনা। চার দিনের সম্বল নিয়ে সারা জীবন কাটানো যায়না। আমার আশা আমাকে অন্য রাস্তায় নিয়ে গেছে। তোমাকে পাওয়া আর হারিয়ে দেওয়ার মাঝে রেখে গেছে। বিশ্বাসের সমুদ্র থেকে কখনো নিজেকে বের করিনি। কখনো কোনো মোড়ে তোমাকে অচেনা করার চেষ্টা করিনি। যেমন তোমাকে পেয়ে মন আনন্দ উন্মাদ হয়েছিল। ঠিক এমনই তোমার জন্য মন চিতকার করেছিল। সেই জ্যোৎস্না রাত রোজ আসে, প্রশ্ন করে। আমি এখন নিঃশব্দ থাকি, জানলা বন্ধ রেখে নিজের ঘরে। ©Ananta Dasgupta

#bengaliwriter #bengalistory #BengaliPoem #moon_day #Bengali  White বিচ্ছেদ মিটিয়ে যখন তুমি এসেছিলে, 
মনের মধ্যে শান্তির সৃষ্টি হয়েছিল। 
অনেক কথা, অনেক ভালোবাসা নিয়ে, 
আমাদের জীবন জ্যোৎস্নায় ভরেছিল।
একই সময় দাড়িয়ে দেখতাম চাঁদের আলো
একই কথা না জানি কত বার বলতাম, শুনতাম। 
তোমার আসা জীবন দিয়ে গেয়েছিল। 
কিন্তু রাতের চাঁদ দিনের আলোয় টেকেনা। 
চার দিনের সম্বল নিয়ে সারা জীবন কাটানো যায়না। 
আমার আশা আমাকে অন্য রাস্তায় নিয়ে গেছে। 
তোমাকে পাওয়া আর হারিয়ে দেওয়ার মাঝে রেখে গেছে। 
বিশ্বাসের সমুদ্র থেকে কখনো নিজেকে বের করিনি। 
কখনো কোনো মোড়ে তোমাকে অচেনা করার চেষ্টা করিনি। 
যেমন তোমাকে পেয়ে মন আনন্দ উন্মাদ হয়েছিল। 
ঠিক এমনই তোমার জন্য মন চিতকার করেছিল।
সেই জ্যোৎস্না রাত রোজ আসে, প্রশ্ন করে। 
আমি এখন নিঃশব্দ থাকি, জানলা বন্ধ রেখে নিজের ঘরে।

©Ananta Dasgupta

আমি অনিরুদ্ধ। ডাক নাম অনি। আজ ১২ দিন হল আমি কিছু লিখিনি নিজের কিছু ব্যক্তিগত কারনের জন্য। ১২ দিন! দেখলে মনে হয় এই তো কেটে গেল। কিন্তু এই ১২ দিন আমার জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিনের মধ্যে সবসময় পড়বে। এই দিন গুলোর মধ্যে আমি অনেক কিছু বুঝতে পেরেছি, জানতে পেরেছি। হয়তো সবকটা ঠিক না হতে পারে কিন্তু কিছুটা এগোনোর মত রাস্তা পাওয়া গেছে। আমার একটা খারাপ অভ্যাস আছে। আমি লোকজনের সামনে অতটা ফ্রি না যতটা আমি একা থাকলে হই। এই কারনে আমি বুঝিয়ে বলতে হয়তো অক্ষম। এই ১২ দিন আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। একা আমি আগেও থেকেছি কিন্তু এইটা একটা আলাদা অনুভূতি। জানতে পেরেছি নিজের চিতকার টা বাইরে বের করা কতটা দরকার। মুখ চাপা রেখে তো অনেক কষ্টই আমার বালিশ ভিজিয়েছে কিন্তু মাঝে মাঝে একটা চিতকার দরকার। বুঝতে পেরেছি জীবনে হুশে আসতে হলে মাঝে মাঝে বেহুশ হওয়া টাও দরকার। জানতে পারলাম এই ব্যস্ত জীবনে কারোর কাছে অত সময় নেই জানার জন্য, অন্যর জীবনে কি হচ্ছে। দেখলাম, বুঝলাম, শিখলাম। নিজের ঠিক, নিজের ভুল, নিজের বোকামি, নিজের অবহেলা। জানলাম মনের ভাবনা সবার এক থাকে না। আমি যার জন্য যতটা ভাবছি, তারা নাও ভাবতে পারে। বুঝতে পারলাম, এই হাঁসি, কান্না, চিন্তা, অভিমান, কষ্ট, ক্ষত আর বেহুশির পরেও আমি হারিনি। কেউ আছে যে আমাকে সামলে রেখেছে। শিক্ষা পেলাম, প্রত্যাশা হীন ভালোবাসার জীবন কি ভাবে চালাতে হয়। ©Ananta Dasgupta

#bengaliwriting #anantadasgupta #bengalistory #Bengali #Quotes  আমি অনিরুদ্ধ। ডাক নাম অনি। আজ ১২ দিন হল আমি কিছু লিখিনি নিজের কিছু ব্যক্তিগত কারনের জন্য। ১২ দিন! দেখলে মনে হয় এই তো কেটে গেল। কিন্তু এই ১২ দিন আমার জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিনের মধ্যে সবসময় পড়বে। এই দিন গুলোর মধ্যে আমি অনেক কিছু বুঝতে পেরেছি, জানতে পেরেছি। হয়তো সবকটা ঠিক না হতে পারে কিন্তু কিছুটা এগোনোর মত রাস্তা পাওয়া গেছে। 

আমার একটা খারাপ অভ্যাস আছে। আমি লোকজনের সামনে অতটা ফ্রি না যতটা আমি একা থাকলে হই। এই কারনে আমি বুঝিয়ে বলতে হয়তো অক্ষম। এই ১২ দিন আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। একা আমি আগেও থেকেছি কিন্তু এইটা একটা আলাদা অনুভূতি। 

জানতে পেরেছি নিজের চিতকার টা বাইরে বের করা কতটা দরকার। মুখ চাপা রেখে তো অনেক কষ্টই আমার বালিশ ভিজিয়েছে কিন্তু মাঝে মাঝে একটা চিতকার দরকার। বুঝতে পেরেছি জীবনে হুশে আসতে হলে মাঝে মাঝে বেহুশ হওয়া টাও দরকার। জানতে পারলাম এই ব্যস্ত জীবনে কারোর কাছে অত সময় নেই জানার জন্য, অন্যর জীবনে কি হচ্ছে। দেখলাম, বুঝলাম, শিখলাম। নিজের ঠিক, নিজের ভুল, নিজের বোকামি, নিজের অবহেলা। 

জানলাম মনের ভাবনা সবার এক থাকে না। আমি যার জন্য যতটা ভাবছি, তারা নাও ভাবতে পারে। বুঝতে পারলাম, এই হাঁসি, কান্না, চিন্তা, অভিমান, কষ্ট, ক্ষত আর বেহুশির পরেও আমি হারিনি। কেউ আছে যে আমাকে সামলে রেখেছে। শিক্ষা পেলাম, প্রত্যাশা হীন ভালোবাসার জীবন কি ভাবে চালাতে হয়।

©Ananta Dasgupta

বসন্ত কে ব্যস্ত হয়ে যেতে বিনোদিনী কাঁধ থেকে মাথাটা সড়িয়ে নেয়। বসন্ত কিছুটা এগিয়ে গিয়ে কথা বলে কিন্তু বিনোদিনী বুঝতে পারে এটা বসন্ত সাধারণ ভাবে কথা বলছে না। ওর মুখে অন্য একটা ভাব। ফোন রেখে দিয়ে বিনোদিনীর পাসে এসে বসল বসন্ত। --"কি হয়েছে?" বিনোদিনী একটু কাছে এগিয়ে জিজ্ঞাসা করল। --"ঐশানি বলে আমার এক কলিগ। পছন্দ করে আমাকে।" কথাটা শুনে আতকে উঠল বিনোদিনী কিন্তু মুখে কিছু নেই। --"আমি স্পষ্ট বলেছি কি আমার সেরকম কোনো ফিলিংস নেই ওর জন্য একটা ভালো বন্ধু ছাড়া। আজ বলেছিল দেখা করতে। আমি কোনো কমিটমেন্ট দেইনি কিন্তু আমার ফেসবুক পোস্ট দেখে আমাকে কল করে দশটা কথা বলছে। ওর এই সন্দেহবাতিক মনোবৃত্তি আমার ভালো লাগে না।" --"তাহলে তোর কি ভালো লাগে?" বিনোদিনীর কথা শেষ হতে শুরু হলো ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। নিজের ঘড়ি আর মোবাইল বিনোদিনী কে দিয়ে বসন্ত চলে গেলে বৃষ্টির মাঝে। বসন্তের আগাগোড়া বৃষ্টি পছন্দ। বিনোদিনীর মানা করাতেও শোনেনি। একটু পরে বিনোদিনী টেনে নিয়ে আসল সিড়ির দিকে। --"কোনো কথা শুনিস না আমার।" বিনোদিনী সাড়ির আঁচল দিয়ে বসন্তের মাথা আর মুখ মুছিয়ে দিল। বসন্ত যখন নিজের চুল ঝাড়ছে তখন বিনোদিনীর চোখ আটকে গেল বসন্তের শরীর থেকে গড়ানো জলের ওপর। প্রত্যেক জলের বিন্দু জায়গা নিচ্ছে ওর ভিজে যাওয়া শার্টের মধ্যে। বিনোদিনী নিজেকে সংযত করে বসন্ত কে ওর মোবাইল আর ঘড়ি দিয়ে দিল। বিনোদিনী নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার কথা ভেবে বাস স্টপে দাড়ায়। --"চল। আবার দেখা হবে।" বিনোদিনী এইটা বলে বসন্ত কে বিদায় দিল। হঠাৎ বসন্তর চোখ পরে একটা লোকের ওপর যে বিনোদিনীর পিছনে উঠল। বিনোদিনী প্রায় অনেকটা ভিজে গেছে আর লোকটার নজর বার বার বিনোদিনীর দিকেই। বসন্ত চলন্ত বসে উঠে গিয়ে বিনোদিনীর পিছনে দাড়িয়ে গেল। --"তুই উঠলি কেনো?" "তোকে বাড়ি ছেড়ে দিয়ে ফিরে যাব।" বসন্তর কন্ঠস্বর গম্ভীর আর এটার কারণ বিনোদিনী বুঝেছে। লোকটার আরেকবার দেখতে বসন্ত ওর দিকেই তাকাল তীক্ষ্ণ দৃষ্টি তে। প্রথম বার বসন্ত ঈর্ষা অনুভব করল তবে এটা বন্ধুত্বের নয়। অন্য কিছু। বিনোদিনীর পাশে এসে দাড়াল বসন্ত। বসে যত চোখ বিনোদিনী কে দেখছে, সেই প্রতিটি চোখ আর ওর দিকে তাকায়নি। বিনোদিনী বসন্তের চোখে আজ অন্য এক ছেলে কে দেখছে। বসন্ত বিনোদিনীর পিঠে লাগা জল মুছিয়ে দিয়ে আঁচল টা ওর কোমরে রেখে নিজের দিকে টানল। আচমকা এই টানে বিনোদিনী খুব কাছে এসে গিয়ে দাঁড়ায়। বিনোদিনীর একটা হাতে বসন্তর শার্ট ধরে রেখেছে, সামান্য থেকে একটু বেশি জোরে মুঠো করে। বসন্তর নিঃশ্বাস সামান্য নয়। ও এই উথাল পাথালের মাঝে বয়ে যাচ্ছে আর বিনোদিনীর ঘাড়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে বসন্তর সেই অনিয়ন্ত্রিত নিঃশ্বাস। বসের ঠেলায় বসন্ত আরও জোরে ধরে রেখেছে তাকে, হাত কোমরে ঢাকা। সহসা দুজনের চোখাচোখি হল। ঘাম আর জলে বিনোদিনীর চেহারা মেখে গেছে। বসন্ত আস্তে করে ওর চেহারা মুছে দিল। বিনোদিনী চোখ বন্ধ করে ফেলেছে। বসন্তর হাতের ছোঁয়া ওকে পাগল করে দিচ্ছে। বিনোদিনী আঁকড়ে ধড়ল বসন্ত কে আরও জোরে। ©Ananta Dasgupta

#anantadasgupta #FriendshipDay #bengaliwriter #bengalistory #Quotes  বসন্ত কে ব্যস্ত হয়ে যেতে বিনোদিনী কাঁধ থেকে মাথাটা সড়িয়ে নেয়। বসন্ত কিছুটা এগিয়ে গিয়ে কথা বলে কিন্তু বিনোদিনী বুঝতে পারে এটা বসন্ত সাধারণ ভাবে কথা বলছে না। ওর মুখে অন্য একটা ভাব। ফোন রেখে দিয়ে বিনোদিনীর পাসে এসে বসল বসন্ত। 

--"কি হয়েছে?" বিনোদিনী একটু কাছে এগিয়ে জিজ্ঞাসা করল।
--"ঐশানি বলে আমার এক কলিগ। পছন্দ করে আমাকে।" কথাটা শুনে আতকে উঠল বিনোদিনী কিন্তু মুখে কিছু নেই। 
--"আমি স্পষ্ট বলেছি কি আমার সেরকম কোনো ফিলিংস নেই ওর জন্য একটা ভালো বন্ধু ছাড়া। আজ বলেছিল দেখা করতে। আমি কোনো কমিটমেন্ট দেইনি কিন্তু আমার ফেসবুক পোস্ট দেখে আমাকে কল করে দশটা কথা বলছে। ওর এই সন্দেহবাতিক মনোবৃত্তি আমার ভালো লাগে না।"

--"তাহলে তোর কি ভালো লাগে?" বিনোদিনীর কথা শেষ হতে শুরু হলো ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। নিজের ঘড়ি আর মোবাইল বিনোদিনী কে দিয়ে বসন্ত চলে গেলে বৃষ্টির মাঝে। বসন্তের আগাগোড়া বৃষ্টি পছন্দ। বিনোদিনীর মানা করাতেও শোনেনি। একটু পরে বিনোদিনী টেনে নিয়ে আসল সিড়ির দিকে।

--"কোনো কথা শুনিস না আমার।" বিনোদিনী সাড়ির আঁচল দিয়ে বসন্তের মাথা আর মুখ মুছিয়ে দিল। বসন্ত যখন নিজের চুল ঝাড়ছে তখন বিনোদিনীর চোখ আটকে গেল বসন্তের শরীর থেকে গড়ানো জলের ওপর। প্রত্যেক জলের বিন্দু জায়গা নিচ্ছে ওর ভিজে যাওয়া শার্টের মধ্যে। বিনোদিনী নিজেকে সংযত করে বসন্ত কে ওর মোবাইল আর ঘড়ি দিয়ে দিল। বিনোদিনী নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার কথা ভেবে বাস স্টপে দাড়ায়। 

--"চল। আবার দেখা হবে।" বিনোদিনী এইটা বলে বসন্ত কে বিদায় দিল। হঠাৎ বসন্তর চোখ পরে একটা লোকের ওপর যে বিনোদিনীর পিছনে উঠল। বিনোদিনী প্রায় অনেকটা ভিজে গেছে আর লোকটার নজর বার বার বিনোদিনীর দিকেই। বসন্ত চলন্ত বসে উঠে গিয়ে বিনোদিনীর পিছনে দাড়িয়ে গেল। 
--"তুই উঠলি কেনো?"

"তোকে বাড়ি ছেড়ে দিয়ে ফিরে যাব।" বসন্তর কন্ঠস্বর গম্ভীর আর এটার কারণ বিনোদিনী বুঝেছে। লোকটার আরেকবার দেখতে বসন্ত ওর দিকেই তাকাল তীক্ষ্ণ দৃষ্টি তে। প্রথম বার বসন্ত ঈর্ষা অনুভব করল তবে এটা বন্ধুত্বের নয়। অন্য কিছু। বিনোদিনীর পাশে এসে দাড়াল বসন্ত। বসে যত চোখ বিনোদিনী কে দেখছে, সেই প্রতিটি চোখ আর ওর দিকে তাকায়নি। বিনোদিনী বসন্তের চোখে আজ অন্য এক ছেলে কে দেখছে। বসন্ত বিনোদিনীর পিঠে লাগা জল মুছিয়ে দিয়ে আঁচল টা ওর কোমরে রেখে নিজের দিকে টানল। 

আচমকা এই টানে বিনোদিনী খুব কাছে এসে গিয়ে দাঁড়ায়। বিনোদিনীর একটা হাতে বসন্তর শার্ট ধরে রেখেছে, সামান্য থেকে একটু বেশি জোরে মুঠো করে। বসন্তর নিঃশ্বাস সামান্য নয়। ও এই উথাল পাথালের মাঝে বয়ে যাচ্ছে আর বিনোদিনীর ঘাড়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে বসন্তর সেই অনিয়ন্ত্রিত নিঃশ্বাস। বসের ঠেলায় বসন্ত আরও জোরে ধরে রেখেছে তাকে, হাত কোমরে ঢাকা। সহসা দুজনের চোখাচোখি হল। ঘাম আর জলে বিনোদিনীর চেহারা মেখে গেছে। বসন্ত আস্তে করে ওর চেহারা মুছে দিল। বিনোদিনী চোখ বন্ধ করে ফেলেছে। বসন্তর হাতের ছোঁয়া ওকে পাগল করে দিচ্ছে। বিনোদিনী আঁকড়ে ধড়ল বসন্ত কে আরও জোরে।

©Ananta Dasgupta

--একটা কানের দুল, এক কাপ চা, একটা একটা নুপুর, একটা গল্পের বই আর একটা গোলাপ। --"হ্যাঁ রে! তুই জীবনে আজ ওবধি কখনো গোলাপ নিয়েছিস আমার থেকে!" --"জীবনে আমি ভাবিনি তুই অবুঝ রয়ে যাবি, কিন্তু তুই আছিস তো এখনও।" বিনোদিনীর দিকে একটু কটু ভাবে তাকিয়ে তার পর এগিয়ে পড়ল তারা হাত ধরে কলকাতার ভিজে রাস্তায়। হালকা হাওয়া, চকচকে রোদ আর গরম চা আবার ফিরিয়ে নিয়ে এল দুজনকে পুরোনো গল্পের বাজারে। এখন তাদের কাছে আছে ঝুড়ি ঝুড়ি গল্প। সেই গল্পের মাঝখান দিয়ে কেটে গেল অনেকটা সময়। বিনোদিনী কে নিয়ে গেল একটা মলে যেখানে ওর জন্য একটা সাড়ি কিনল। নীল রং বিনোদিনীর প্রিয়। বসন্তের দিকে তাকিয়ে হাসল আর কিছুক্ষণের পর বেড়িয়ে আসল সাড়ি পরে। বসন্ত ভাবল একটা সিটি মারবে কিন্তু বিনোদিনী চোখ বড় করে আগেই বারণ করে দেয়। --"কি মাল লাগছে তোকে দেখতে!" বসন্তের কথা শুনে মাথায় টোকা মাড়ল বিনোদিনী। --"ইশ! কি ভাষা এইসব, ছোটোলোক।" --"সরি সরি। মানে সুন্দর লাগছে। একটু স্লিপ হয়ে গেছি।" --"সেই! সব জানি তোমার স্লিপ হওয়া।" মুখ ভেংচি কেটে বিনোদিনী বেড়িয়ে গেল। বসন্ত সবকিছু কিনল গোলাপ ছাড়া। বিনোদিনী এটা লক্ষ্য করেছে কিন্তু কিছু বলল না। এত দিন ধরে ও নিজের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু কে দেখা করার জন্য ডাকছিল কিন্তু সেই ছেলেটা এখন প্রিয় বন্ধু থেকে প্রিয় মানুষ হয়ে গেছে আর সমস্যা এটা কি বিনোদিনী এটা জেনেও নিজের বুকে অনেক কিছু চেপে রেখেছে এত বছর ধরে। সমস্ত গল্পের পর দুজনে এসে বসল আহিরীটোলা ঘাটে। ব্যাগ গুলো রেখে বিনোদিনী একবার ঘড়ির দিকে তাকাল। এবার তো ফিরতে হবে। কে জানে পরে কবে দেখা হবে। যদি নাও হয়, কথাও তো সেরকম হবে না। --"ওই! কোন গভীর চিন্তায় চলে গেলি?" মুখের সামনে তুরি মেরে বসন্ত টেনে আনল বিনোদিনী কে বাস্তবতায়। --"না। কিছু না।" --"ও আচ্ছা আচ্ছা! তবে রাস্তা পার হওয়ার সময় চোখের জল মুচ্ছিলিস কেন? সেটাও কি এমনি?" বিনোদিনী অবাক তো হয়েছে কিন্তু প্রকাশ করেনি। নিজেকে চাপা রাখার চেষ্টায় খুব ভালো ভাবে সফল হতে পেরেছে। --"ধুর! ওরকম কিছুই না।" বিনোদিনীর উত্তরে পর বসন্ত আর কিছু বলল না। বিনোদিনীর মনে হল হয়তো একবার বসন্ত কে বলে দিক। অন্তত এই যুদ্ধ বন্ধ হবে ওর মনের মধ্যে। সে বলতে যাবে তখন বসন্তের কাছে একটা কল এল। মোবাইল স্ক্রিনে নাম দেখাচ্ছে "ঐশানি কলিং"। ©Ananta Dasgupta

#anantadasgupta #FriendshipDay #bengaliwriter #bengalistory #Quotes  --একটা কানের দুল, এক কাপ চা, একটা একটা নুপুর, একটা গল্পের বই আর একটা গোলাপ। 
--"হ্যাঁ রে! তুই জীবনে আজ ওবধি কখনো গোলাপ নিয়েছিস আমার থেকে!"
--"জীবনে আমি ভাবিনি তুই অবুঝ রয়ে যাবি, কিন্তু তুই আছিস তো এখনও।" বিনোদিনীর দিকে একটু কটু ভাবে তাকিয়ে তার পর এগিয়ে পড়ল তারা হাত ধরে কলকাতার ভিজে রাস্তায়। 

হালকা হাওয়া, চকচকে রোদ আর গরম চা আবার ফিরিয়ে নিয়ে এল দুজনকে পুরোনো গল্পের বাজারে। এখন তাদের কাছে আছে ঝুড়ি ঝুড়ি গল্প। সেই গল্পের মাঝখান দিয়ে কেটে গেল অনেকটা সময়। বিনোদিনী কে নিয়ে গেল একটা মলে যেখানে ওর জন্য একটা সাড়ি কিনল। নীল রং বিনোদিনীর প্রিয়। বসন্তের দিকে তাকিয়ে হাসল আর কিছুক্ষণের পর বেড়িয়ে আসল সাড়ি পরে। বসন্ত ভাবল একটা সিটি মারবে কিন্তু বিনোদিনী চোখ বড় করে আগেই বারণ করে দেয়। 

--"কি মাল লাগছে তোকে দেখতে!" বসন্তের কথা শুনে মাথায় টোকা মাড়ল বিনোদিনী। 
--"ইশ! কি ভাষা এইসব, ছোটোলোক।"
--"সরি সরি। মানে সুন্দর লাগছে। একটু স্লিপ হয়ে গেছি।"
--"সেই! সব জানি তোমার স্লিপ হওয়া।" মুখ ভেংচি কেটে বিনোদিনী বেড়িয়ে গেল। বসন্ত সবকিছু কিনল গোলাপ ছাড়া। বিনোদিনী এটা লক্ষ্য করেছে কিন্তু কিছু বলল না। এত দিন ধরে ও নিজের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু কে দেখা করার জন্য ডাকছিল কিন্তু সেই ছেলেটা এখন প্রিয় বন্ধু থেকে প্রিয় মানুষ হয়ে গেছে আর সমস্যা এটা কি বিনোদিনী এটা জেনেও নিজের বুকে অনেক কিছু চেপে রেখেছে এত বছর ধরে। 

সমস্ত গল্পের পর দুজনে এসে বসল আহিরীটোলা ঘাটে। ব্যাগ গুলো রেখে বিনোদিনী একবার ঘড়ির দিকে তাকাল। এবার তো ফিরতে হবে। কে জানে পরে কবে দেখা হবে। যদি নাও হয়, কথাও তো সেরকম হবে না।

--"ওই! কোন গভীর চিন্তায় চলে গেলি?" মুখের সামনে তুরি মেরে বসন্ত টেনে আনল বিনোদিনী কে বাস্তবতায়। 
--"না। কিছু না।" 
--"ও আচ্ছা আচ্ছা! তবে রাস্তা পার হওয়ার সময় চোখের জল মুচ্ছিলিস কেন? সেটাও কি এমনি?" বিনোদিনী অবাক তো হয়েছে কিন্তু প্রকাশ করেনি। নিজেকে চাপা রাখার চেষ্টায় খুব ভালো ভাবে সফল হতে পেরেছে। 
--"ধুর! ওরকম কিছুই না।" বিনোদিনীর উত্তরে পর বসন্ত আর কিছু বলল না। 

বিনোদিনীর মনে হল হয়তো একবার বসন্ত কে বলে দিক। অন্তত এই যুদ্ধ বন্ধ হবে ওর মনের মধ্যে। সে বলতে যাবে তখন বসন্তের কাছে একটা কল এল। মোবাইল স্ক্রিনে নাম দেখাচ্ছে "ঐশানি কলিং"।

©Ananta Dasgupta

আজ বৃষ্টি থামার নাম নেই। এদিকে বিনোদিনী বসন্ত কে বলে দিয়েছে যে আজ না দেখা করলে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ আজই হয়ে যাবে। বিধাননগর স্টেশনে দাঁড়িয়ে বিনোদিনী অপেক্ষা করছে আর ফোনে ঘাঁটছে কিছু পুরোনো স্মৃতি। বিনোদিনী আর বসন্ত কলজের সময় থেকে বন্ধু। আজ ওরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে ভালো জায়গায় কাজ পেয়েছে। ওদের প্রথম দেখাটা হয়ে ফ্রেন্ডশিপ ডে তেই আর খুব অযুক্তিকর এক ঝগড়া দিয়ে। বোধহয় সেই ঝগড়াই ভিত গড়ে দিয়েছিল তাদের বন্ধুত্বের। আজ ৫ বছর হলো তাদের এই সম্পর্কের। কলেজে দুজনকে কখনো আলাদা দেখাই যেত না। যেখানে বিনোদিনী সেখানেই বসন্ত। সময় কাটতে কাটতে বসন্তের জন্য বিনোদিনী হয়ে গেল বিনোদ আর বসন্ত আসলেই বিনোদিনীর খুব বাজে গলায় একটা গান- "বসন্ত এসে গেছে!" কিন্তু এই উপনাম গুলো অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। তাহলে সেটাই তার শেষ দিন। দুজনের কথা কম, ঝগড়া, মারপিট, খুনসুটি বেশি হত। দুজনের মতের কোনো মিল নেই, তাও গলায় গলায় বন্ধুত্ব। চায়ের আড্ডা, গল্পের বাজার, বাউণ্ডুলের মত ঘোরা আর একে অপরের পাশাপাশি থাকা। এইটুকুই ছিল দুজনের পৃথিবী। সবাই বুঝে গেছিল ওদের বন্ধুত্বের তিনটে ধাপ। প্রথম, যখন ওরা নিজেকে উপনাম দিয়ে ডাকছে যার মানে সবকিছু বেশ ভালোই চলছে। দ্বিতীয়, যখন ওরা একে অপরকে নিজের নাম ধরে ডাকছে যার মানে দুজনের অভিমান হয়েছে। তৃতীয় আর সবথেকে ভয়াবহ হলো যদি ওরা পরস্পরের নামের আগে মিস্টার বা মিস বলে সম্বোধন করল তাহলে ব্যপার প্রচুর বাজে একটা জায়গায় চলে গেছে। এই তৃতীয় ধাপটা ওদের জীবনে শুধু দুবারই এসেছে। একবার তো বিনোদিনীর মাকে মিল করাতে হলো আর একবার বিনোদিনীর আচমকা পরে যেতে ছুটে দৌড়ে ছিল বসন্ত। সেই দিন বিনোদিনী বন্ধু থেকে এক পা এগিয়ে গিয়ে প্রথম বার আলাদা একটা অনুভূতি তে জড়িয়ে ছিল। সে একটা আলাদা আনন্দ, একটা মিষ্টি কান্না। সময় ফুড়িয়ে যায় আর কলেজ শেষ হয়। বিনোদিনী ভেবেছিল এক দিন বসন্ত কে নিজের মনের কথা বলে দেবে কিন্তু বসন্ত কে দেখে ওর কখনো মনেই হয়নি কি সেও এরকম কিছু অনুভব করে কি না। মুখ বুজে বন্ধু রয়ে গেল বিনোদিনী। হয়তো ভয় ছিল, মনের কথা বললে যদি বসন্ত পিছিয়ে যায়। হয়তো সেটা সহ্য করতে পারবে না বিনোদিনী। বসন্ত ছাড়া ওর সেরকম কোনো বন্ধু নেই। আজ নতুন জায়গায় চাকরি পাওয়ার পরে বিনোদিনীর সার্কেল অনেক বড় কিন্তু মনের কথা বলার জন্য মানুষ নেই। বসন্তের সাথেও খুব একটা কথা হয় না ওর। দুজনে আশা রাখে, দুজনেই যেন ভালো থাকুক। কিন্তু ভালোর আশা রাখার থেকে ভালো করে রাখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ©Ananta Dasgupta

#anantadasgupta #FriendshipDay #bengaliwriter #bengalistory #Quotes  আজ বৃষ্টি থামার নাম নেই। এদিকে বিনোদিনী বসন্ত কে বলে দিয়েছে যে আজ না দেখা করলে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ আজই হয়ে যাবে। বিধাননগর স্টেশনে দাঁড়িয়ে বিনোদিনী অপেক্ষা করছে আর ফোনে ঘাঁটছে কিছু পুরোনো স্মৃতি। 

বিনোদিনী আর বসন্ত কলজের সময় থেকে বন্ধু। আজ ওরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে ভালো জায়গায় কাজ পেয়েছে। ওদের প্রথম দেখাটা হয়ে ফ্রেন্ডশিপ ডে তেই আর খুব অযুক্তিকর এক ঝগড়া দিয়ে। বোধহয় সেই ঝগড়াই ভিত গড়ে দিয়েছিল তাদের বন্ধুত্বের। আজ ৫ বছর হলো তাদের এই সম্পর্কের। কলেজে দুজনকে কখনো আলাদা দেখাই যেত না। যেখানে বিনোদিনী সেখানেই বসন্ত। সময় কাটতে কাটতে বসন্তের জন্য বিনোদিনী হয়ে গেল বিনোদ আর বসন্ত আসলেই বিনোদিনীর খুব বাজে গলায় একটা গান- "বসন্ত এসে গেছে!"

কিন্তু এই উপনাম গুলো অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। তাহলে সেটাই তার শেষ দিন। দুজনের কথা কম, ঝগড়া, মারপিট, খুনসুটি বেশি হত। দুজনের মতের কোনো মিল নেই, তাও গলায় গলায় বন্ধুত্ব। চায়ের আড্ডা, গল্পের বাজার, বাউণ্ডুলের মত ঘোরা আর একে অপরের পাশাপাশি থাকা। এইটুকুই ছিল দুজনের পৃথিবী। সবাই বুঝে গেছিল ওদের বন্ধুত্বের তিনটে ধাপ। প্রথম, যখন ওরা নিজেকে উপনাম দিয়ে ডাকছে যার মানে সবকিছু বেশ ভালোই চলছে। দ্বিতীয়, যখন ওরা একে অপরকে নিজের নাম ধরে ডাকছে যার মানে দুজনের অভিমান হয়েছে। তৃতীয় আর সবথেকে ভয়াবহ হলো যদি ওরা পরস্পরের নামের আগে মিস্টার বা মিস বলে সম্বোধন করল তাহলে ব্যপার প্রচুর বাজে একটা জায়গায় চলে গেছে। এই তৃতীয় ধাপটা ওদের জীবনে শুধু দুবারই এসেছে। একবার তো বিনোদিনীর মাকে মিল করাতে হলো আর একবার বিনোদিনীর আচমকা পরে যেতে ছুটে দৌড়ে ছিল বসন্ত। 

সেই দিন বিনোদিনী বন্ধু থেকে এক পা এগিয়ে গিয়ে প্রথম বার আলাদা একটা অনুভূতি তে জড়িয়ে ছিল। সে একটা আলাদা আনন্দ, একটা মিষ্টি কান্না। সময় ফুড়িয়ে যায় আর কলেজ শেষ হয়। বিনোদিনী ভেবেছিল এক দিন বসন্ত কে নিজের মনের কথা বলে দেবে কিন্তু বসন্ত কে দেখে ওর কখনো মনেই হয়নি কি সেও এরকম কিছু অনুভব করে কি না। মুখ বুজে বন্ধু রয়ে গেল বিনোদিনী। হয়তো ভয় ছিল, মনের কথা বললে যদি বসন্ত পিছিয়ে যায়। হয়তো সেটা সহ্য করতে পারবে না বিনোদিনী। বসন্ত ছাড়া ওর সেরকম কোনো বন্ধু নেই। আজ নতুন জায়গায় চাকরি পাওয়ার পরে বিনোদিনীর সার্কেল অনেক বড় কিন্তু মনের কথা বলার জন্য মানুষ নেই। বসন্তের সাথেও খুব একটা কথা হয় না ওর। দুজনে আশা রাখে, দুজনেই যেন ভালো থাকুক। কিন্তু ভালোর আশা রাখার থেকে ভালো করে রাখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

©Ananta Dasgupta

White লুকিয়ে আছে কত আশা এই চাঁদের দিকে তাকিয়ে। প্রতিটি দিন শেষ করছে ভেতরে একটা সংসার লুকিয়ে। অনেক বার দাঁড়ায়, চারিদিক দেখে, আবার হাঁটে। অগোছালো ভাবনা নিয়ে মানুষ যায় এগিয়ে। একই প্রশ্ন করে বার বার নিজেকে আজ তো হয়ে গেল, কালকে সামলাবে কে? মন আনমনা করে সমস্ত অনুভূতি এক জায়গায় রেখে দেয়। ক্লান্ত দেহ, ক্লান্ত নিঃশ্বাস, ক্লান্ত চোখের সঙ্গী হয় ক্লান্ত হৃদয়। কোনো দিন হয়তো এমন হবে, আর কিছু মনে হবেনা। ঠিক যেমন অবশ হয়ে যায় শরীরের কোনো অংশ। সেই চাঁদ থাকবে, সেই ভিড় থাকবে, সেই ক্লান্ত চোখ থাকবে পার্থক্য থাকবে সেই একটা জায়গার যা হয়ে গেছে ধংস। শান্ত হয়ে যাবে মানুষ তখন ভেতরের যুদ্ধ থেকে নিরবতা পালন করবে দু মিনিটের নিজেকেই শেষ করে। ©Ananta Dasgupta

#bengaliwriting #bengaliquotes #BengaliPoem #Sad_shayri  White লুকিয়ে আছে কত আশা এই চাঁদের দিকে তাকিয়ে।
প্রতিটি দিন শেষ করছে ভেতরে একটা সংসার লুকিয়ে। 
অনেক বার দাঁড়ায়, চারিদিক দেখে, আবার হাঁটে। 
অগোছালো ভাবনা নিয়ে মানুষ যায় এগিয়ে। 
একই প্রশ্ন করে বার বার নিজেকে
আজ তো হয়ে গেল, কালকে সামলাবে কে? 
মন আনমনা করে সমস্ত অনুভূতি এক জায়গায় রেখে দেয়। 
ক্লান্ত দেহ, ক্লান্ত নিঃশ্বাস, ক্লান্ত চোখের সঙ্গী হয় ক্লান্ত হৃদয়। 
কোনো দিন হয়তো এমন হবে, আর কিছু মনে হবেনা। 
ঠিক যেমন অবশ হয়ে যায় শরীরের কোনো অংশ। 
সেই চাঁদ থাকবে, সেই ভিড় থাকবে, সেই ক্লান্ত চোখ থাকবে
পার্থক্য থাকবে সেই একটা জায়গার যা হয়ে গেছে ধংস। 
শান্ত হয়ে যাবে মানুষ তখন ভেতরের যুদ্ধ থেকে
নিরবতা পালন করবে দু মিনিটের নিজেকেই শেষ করে।

©Ananta Dasgupta

White বিচ্ছেদ মিটিয়ে যখন তুমি এসেছিলে, মনের মধ্যে শান্তির সৃষ্টি হয়েছিল। অনেক কথা, অনেক ভালোবাসা নিয়ে, আমাদের জীবন জ্যোৎস্নায় ভরেছিল। একই সময় দাড়িয়ে দেখতাম চাঁদের আলো একই কথা না জানি কত বার বলতাম, শুনতাম। তোমার আসা জীবন দিয়ে গেয়েছিল। কিন্তু রাতের চাঁদ দিনের আলোয় টেকেনা। চার দিনের সম্বল নিয়ে সারা জীবন কাটানো যায়না। আমার আশা আমাকে অন্য রাস্তায় নিয়ে গেছে। তোমাকে পাওয়া আর হারিয়ে দেওয়ার মাঝে রেখে গেছে। বিশ্বাসের সমুদ্র থেকে কখনো নিজেকে বের করিনি। কখনো কোনো মোড়ে তোমাকে অচেনা করার চেষ্টা করিনি। যেমন তোমাকে পেয়ে মন আনন্দ উন্মাদ হয়েছিল। ঠিক এমনই তোমার জন্য মন চিতকার করেছিল। সেই জ্যোৎস্না রাত রোজ আসে, প্রশ্ন করে। আমি এখন নিঃশব্দ থাকি, জানলা বন্ধ রেখে নিজের ঘরে। ©Ananta Dasgupta

#bengaliwriter #bengalistory #BengaliPoem #moon_day #Bengali  White বিচ্ছেদ মিটিয়ে যখন তুমি এসেছিলে, 
মনের মধ্যে শান্তির সৃষ্টি হয়েছিল। 
অনেক কথা, অনেক ভালোবাসা নিয়ে, 
আমাদের জীবন জ্যোৎস্নায় ভরেছিল।
একই সময় দাড়িয়ে দেখতাম চাঁদের আলো
একই কথা না জানি কত বার বলতাম, শুনতাম। 
তোমার আসা জীবন দিয়ে গেয়েছিল। 
কিন্তু রাতের চাঁদ দিনের আলোয় টেকেনা। 
চার দিনের সম্বল নিয়ে সারা জীবন কাটানো যায়না। 
আমার আশা আমাকে অন্য রাস্তায় নিয়ে গেছে। 
তোমাকে পাওয়া আর হারিয়ে দেওয়ার মাঝে রেখে গেছে। 
বিশ্বাসের সমুদ্র থেকে কখনো নিজেকে বের করিনি। 
কখনো কোনো মোড়ে তোমাকে অচেনা করার চেষ্টা করিনি। 
যেমন তোমাকে পেয়ে মন আনন্দ উন্মাদ হয়েছিল। 
ঠিক এমনই তোমার জন্য মন চিতকার করেছিল।
সেই জ্যোৎস্না রাত রোজ আসে, প্রশ্ন করে। 
আমি এখন নিঃশব্দ থাকি, জানলা বন্ধ রেখে নিজের ঘরে।

©Ananta Dasgupta

আমি অনিরুদ্ধ। ডাক নাম অনি। আজ ১২ দিন হল আমি কিছু লিখিনি নিজের কিছু ব্যক্তিগত কারনের জন্য। ১২ দিন! দেখলে মনে হয় এই তো কেটে গেল। কিন্তু এই ১২ দিন আমার জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিনের মধ্যে সবসময় পড়বে। এই দিন গুলোর মধ্যে আমি অনেক কিছু বুঝতে পেরেছি, জানতে পেরেছি। হয়তো সবকটা ঠিক না হতে পারে কিন্তু কিছুটা এগোনোর মত রাস্তা পাওয়া গেছে। আমার একটা খারাপ অভ্যাস আছে। আমি লোকজনের সামনে অতটা ফ্রি না যতটা আমি একা থাকলে হই। এই কারনে আমি বুঝিয়ে বলতে হয়তো অক্ষম। এই ১২ দিন আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। একা আমি আগেও থেকেছি কিন্তু এইটা একটা আলাদা অনুভূতি। জানতে পেরেছি নিজের চিতকার টা বাইরে বের করা কতটা দরকার। মুখ চাপা রেখে তো অনেক কষ্টই আমার বালিশ ভিজিয়েছে কিন্তু মাঝে মাঝে একটা চিতকার দরকার। বুঝতে পেরেছি জীবনে হুশে আসতে হলে মাঝে মাঝে বেহুশ হওয়া টাও দরকার। জানতে পারলাম এই ব্যস্ত জীবনে কারোর কাছে অত সময় নেই জানার জন্য, অন্যর জীবনে কি হচ্ছে। দেখলাম, বুঝলাম, শিখলাম। নিজের ঠিক, নিজের ভুল, নিজের বোকামি, নিজের অবহেলা। জানলাম মনের ভাবনা সবার এক থাকে না। আমি যার জন্য যতটা ভাবছি, তারা নাও ভাবতে পারে। বুঝতে পারলাম, এই হাঁসি, কান্না, চিন্তা, অভিমান, কষ্ট, ক্ষত আর বেহুশির পরেও আমি হারিনি। কেউ আছে যে আমাকে সামলে রেখেছে। শিক্ষা পেলাম, প্রত্যাশা হীন ভালোবাসার জীবন কি ভাবে চালাতে হয়। ©Ananta Dasgupta

#bengaliwriting #anantadasgupta #bengalistory #Bengali #Quotes  আমি অনিরুদ্ধ। ডাক নাম অনি। আজ ১২ দিন হল আমি কিছু লিখিনি নিজের কিছু ব্যক্তিগত কারনের জন্য। ১২ দিন! দেখলে মনে হয় এই তো কেটে গেল। কিন্তু এই ১২ দিন আমার জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিনের মধ্যে সবসময় পড়বে। এই দিন গুলোর মধ্যে আমি অনেক কিছু বুঝতে পেরেছি, জানতে পেরেছি। হয়তো সবকটা ঠিক না হতে পারে কিন্তু কিছুটা এগোনোর মত রাস্তা পাওয়া গেছে। 

আমার একটা খারাপ অভ্যাস আছে। আমি লোকজনের সামনে অতটা ফ্রি না যতটা আমি একা থাকলে হই। এই কারনে আমি বুঝিয়ে বলতে হয়তো অক্ষম। এই ১২ দিন আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। একা আমি আগেও থেকেছি কিন্তু এইটা একটা আলাদা অনুভূতি। 

জানতে পেরেছি নিজের চিতকার টা বাইরে বের করা কতটা দরকার। মুখ চাপা রেখে তো অনেক কষ্টই আমার বালিশ ভিজিয়েছে কিন্তু মাঝে মাঝে একটা চিতকার দরকার। বুঝতে পেরেছি জীবনে হুশে আসতে হলে মাঝে মাঝে বেহুশ হওয়া টাও দরকার। জানতে পারলাম এই ব্যস্ত জীবনে কারোর কাছে অত সময় নেই জানার জন্য, অন্যর জীবনে কি হচ্ছে। দেখলাম, বুঝলাম, শিখলাম। নিজের ঠিক, নিজের ভুল, নিজের বোকামি, নিজের অবহেলা। 

জানলাম মনের ভাবনা সবার এক থাকে না। আমি যার জন্য যতটা ভাবছি, তারা নাও ভাবতে পারে। বুঝতে পারলাম, এই হাঁসি, কান্না, চিন্তা, অভিমান, কষ্ট, ক্ষত আর বেহুশির পরেও আমি হারিনি। কেউ আছে যে আমাকে সামলে রেখেছে। শিক্ষা পেলাম, প্রত্যাশা হীন ভালোবাসার জীবন কি ভাবে চালাতে হয়।

©Ananta Dasgupta
Trending Topic