Azharuddin(The untold writer)

Azharuddin(The untold writer)

Bcom Hons from Goenka college of commerce and business administration

  • Latest
  • Popular
  • Video
#emotional_sad_shayari  White স্মৃতির পাতায় 
     'স্মৃতি ' শব্দটা শোনার সাথেই সাথেই কেউ যেন হাজারও আগাগোড়া সুখ-দুখের চিত্র চোখের সামনে তুলে ধরল। আমার কাছে স্মৃতির স্বর্ন যুগ বলতে শৈশবকালটাকে মনে পড়ে যেখানে মায়ের আঁচল ভরা সুখের সামনে দুঃখগুলি যেন ঐ শাড়িরেই কোনো একটা কোণে পুটলিতে বাঁধা আছে,যেখানে শৈশবের অবাধ স্বাধীনতার ডাক বারবার মনকে নাড়া দিয়ে সেই পুরোনো স্মৃতির দেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে।কিন্তু বাস্তব সত্যের সময়ের খেলার সাথে যেমন নদীর গতিপথও একসময় সমুদ্রের কোনো এক মিলনস্থলে থমকে যায় ঠিক একিভাবে এই অদম্য ইচ্ছাগুলোও কোথায় যেন থমকে যাই ।এই বিরামহীন,স্বার্থপরতার মোহ আচ্ছন্ন ভরা জীবনে ঐই স্বর্ন যুগকে সাদামাটা পাতায় তুলতে চাইলে কলমের ডগাও যেন মুচলেকা দিয়ে নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করে ,তবু কলমের কালির  বিদ্রোহের জেরে বর্ণমালাগুলো কিছুটা হলেও  স্মৃতির ন্যয় নিজেদেরকে রূপ দিতে সক্ষম হয়েছে। 

       আমার শৈশবকালের স্মৃতি বলতে বেশিরভাগ সময়টাই গ্রামে কাটানো।এখন পড়াশোনার খাতিরে শহরে থাকি, তাই হয়তো গ্রামের মাতৃভূমির প্রতি সর্বদা একটা আলাদাই টান থাকে,অনেকটা যেন ম্যাগনেসিয়া পাথরের অমোঘ টানের মতো ক্ষমতা সম্পন্ন ।হয়তো শহরের একঘেয়েমি,বন্দি দ্বারের মতো থমকে দাঁড়ানো বড়ো বড়ো অট্টালিকা আর হাজার হাজার কলকারখানার ধুয়ো ভর্তি আকাশের থেকে মন বিপন্ন হয়ে বারবার সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অলংকারে সাজানো গ্রামের প্রত্যেকটা রূপে মন যেন শৈশবের স্মৃতিগুলো ফিরে পেতে চাই ,তাই হয়তো এই চুম্বকত্বের টান।
     বিশেষত মনে পড়ে সাত সকালে পাখিদের কিচিরমিচির শব্দের তালে সূর্যি মামা যখন নিজের দায়িত্বের ভার নিয়ে পৃথিবীর বুকে বিরাজ করার চেষ্টা করে ,ঠিক সেই সময়ের পাশাপাশি মায়ের ডাক"হেইই বাবা,, তোর প্রিয় নাস্তা বানিয়ে দিয়েছি তাড়াতাড়ি উঠে খেয়ে নে তা না হলে ঠান্ডা হয়ে যাবে ।"কিন্তু মায়ের অজান্তেই সেই মিষ্টি বকুনি খাওয়ার অপেক্ষায় আবার শুয়ে পড়তাম আর ঠিক অল্পক্ষণের মধ্যেই মায়ের সেই বকুনি "দ্যখ না গিয়ে পাড়ার সব ছেলেরা মাঠে খেলছে আর তুই এখনও ঘুমিয়ে আচ্ছিস" যা আজ সবচাইতে বেশী মনে পড়ে।মনে হয় কান যেন সেই মায়ের ডাকগুলি শোনার জন্য সাত সকালে হোস্টল রুমের চার দেওয়ালে আজও প্রত্যাশাই থাকে।
       মনে পড়ে সেই গ্রীষ্মের বিকেলগুলিতে মায়ের অজান্তেই ঘুম থেকে উঠে কানু মামার বাগানে বন্ধুদের সাথে আম চুরি করতে যাওয়ার গল্প। আজ হাজার টাকার আম কেনার সামর্থ্য রয়েছে, তবে জানি না কেন ঐ চুরি করা আমের স্বাদের সামনে আজ এক্সপোর্টেড করার আমের স্বাদটুকু ফেকসে পড়ে যায়।
         স্কুল ফেরৎ আমি না খেয়ে বন্ধুদের নানা বাহারের ডাকে (বিশেষত আমার বাবার ভয়ে বন্ধুদের ডাকার এই কৌশল ছিল ) সাড়া দিয়ে মাঠে খেলতে যাওয়ার জেদ আজও মনে পডে,আজ সময়ের কাছে সেই জেদ যেন মাথা নত করেছে।
         আর সব চাইতে মজার স্কুলের সেই বানেশ্বর স্যরের ইংরেজী ক্লাসটা ।আজও ইচ্ছে করে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে গ্রামারটা ভুল করে চলে আসি,আর সাথে স্যরের বকুনিটা যার মধ্যে হাজারো বাস্তব শিক্ষার উপদেশ থাকত যা আজও জীবনে চলার পথে অনুভব করতে পারি।
          আজ ঘর থেকে দূরে থাকলেও প্রায়ই মনে পড়ে সেই কোনো এক সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে সাইকেল করে দিগন্তে ছুটে যাওয়ার গল্প ,আজ সেই সাইকেল বাড়ির কোনো এক কোণে অভিমানের বাঁধ নিয়ে নিশ্চুপ থাকে,হয়তো আমারি অপেক্ষায় রয়েছে শত শত প্রশ্নে নিয়ে ।যেদিন আমি শহর থেকে গ্রামে ফিরব ,বাইনা ধরবে দিগন্ত ছুটে যাওয়ার।     
        আর ঠিক এভাবেই আমার অপূর্ণ গল্পের মধ্যে স্মৃতিরা নিজেদের রূপ দেওয়ার চেষ্টাতে দ্বন্দ্ব লাগায় কিন্তু কলমের ডগার জেদের কাছে তারা যেন অসহায় ,কলমের কালি তার অন্তিম পর্যায়ে যেন বিদ্রোহের শব্দ হারিয়ে ফেলে বর্ণমালার হিজিবিজির কাছে।তাই আজও স্মৃতিরা অব্যক্ত।
         বাস্তব সত্যের জগৎে সমসুরে স্মৃতিরা নিঃস্বার্থ ভাবে  জীবনে চলার পথে জড়িয়ে যায়। মাঝে মাঝে হঠ্যাৎ রোদ্দুর বিকেলে যেমন অজানা মেঘেরা পৃথিবীর বুকে নিজেদের রূপের বর্ষণ ঘটাই,ঠিক হুবুহু স্মৃতিরাও মাঝে মাঝে মনের অন্তরে বৃষ্টির ফোঁটার মতো নিজেদেরকে ঝরিয়ে সব কিছু তরতাজা করে দিয়ে চলে যাই।
         পরিশেষে -ঐ শৈশবকালের স্বর্ন যুগ যেমন আমার এই ছোটো গল্পতে অপরিসমাপ্ত,শেষ নিশ্বাস ত্যাগের আগে পর্যন্ত তারা যেন এভাবেই বাকি থাকে।



                                                                                                   @আজহারউদ্দিন আনসারি

©Azharuddin(The untold writer)
 স্মৃতির পাতায় 
     'স্মৃতি ' শব্দটা শোনার সাথেই সাথেই কেউ যেন হাজারও আগাগোড়া সুখ-দুখের চিত্র চোখের সামনে তুলে ধরল। আমার কাছে স্মৃতির স্বর্ন যুগ বলতে শৈশবকালটাকে মনে পড়ে যেখানে মায়ের আঁচল ভরা সুখের সামনে দুঃখগুলি যেন ঐ শাড়িরেই কোনো একটা কোণে পুটলিতে বাঁধা আছে,যেখানে শৈশবের অবাধ স্বাধীনতার ডাক বারবার মনকে নাড়া দিয়ে সেই পুরোনো স্মৃতির দেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে।কিন্তু বাস্তব সত্যের সময়ের খেলার সাথে যেমন নদীর গতিপথও একসময় সমুদ্রের কোনো এক মিলনস্থলে থমকে যায় ঠিক একিভাবে এই অদম্য ইচ্ছাগুলোও কোথায় যেন থমকে যাই ।এই বিরামহীন,স্বার্থপরতার মোহ আচ্ছন্ন ভরা জীবনে ঐই স্বর্ন যুগকে সাদামাটা পাতায় তুলতে চাইলে কলমের ডগাও যেন মুচলেকা দিয়ে নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করে ,তবু কলমের কালির  বিদ্রোহের জেরে বর্ণমালাগুলো কিছুটা হলেও  স্মৃতির ন্যয় নিজেদেরকে রূপ দিতে সক্ষম হয়েছে। 

       আমার শৈশবকালের স্মৃতি বলতে বেশিরভাগ সময়টাই গ্রামে কাটানো।এখন পড়াশোনার খাতিরে শহরে থাকি, তাই হয়তো গ্রামের মাতৃভূমির প্রতি সর্বদা একটা আলাদাই টান থাকে,অনেকটা যেন ম্যাগনেসিয়া পাথরের অমোঘ টানের মতো ক্ষমতা সম্পন্ন ।হয়তো শহরের একঘেয়েমি,বন্দি দ্বারের মতো থমকে দাঁড়ানো বড়ো বড়ো অট্টালিকা আর হাজার হাজার কলকারখানার ধুয়ো ভর্তি আকাশের থেকে মন বিপন্ন হয়ে বারবার সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অলংকারে সাজানো গ্রামের প্রত্যেকটা রূপে মন যেন শৈশবের স্মৃতিগুলো ফিরে পেতে চাই ,তাই হয়তো এই চুম্বকত্বের টান।
     বিশেষত মনে পড়ে সাত সকালে পাখিদের কিচিরমিচির শব্দের তালে সূর্যি মামা যখন নিজের দায়িত্বের ভার নিয়ে পৃথিবীর বুকে বিরাজ করার চেষ্টা করে ,ঠিক সেই সময়ের পাশাপাশি মায়ের ডাক"হেইই বাবা,, তোর প্রিয় নাস্তা বানিয়ে দিয়েছি তাড়াতাড়ি উঠে খেয়ে নে তা না হলে ঠান্ডা হয়ে যাবে ।"কিন্তু মায়ের অজান্তেই সেই মিষ্টি বকুনি খাওয়ার অপেক্ষায় আবার শুয়ে পড়তাম আর ঠিক অল্পক্ষণের মধ্যেই মায়ের সেই বকুনি "দ্যখ না গিয়ে পাড়ার সব ছেলেরা মাঠে খেলছে আর তুই এখনও ঘুমিয়ে আচ্ছিস" যা আজ সবচাইতে বেশী মনে পড়ে।মনে হয় কান যেন সেই মায়ের ডাকগুলি শোনার জন্য সাত সকালে হোস্টল রুমের চার দেওয়ালে আজও প্রত্যাশাই থাকে।
       মনে পড়ে সেই গ্রীষ্মের বিকেলগুলিতে মায়ের অজান্তেই ঘুম থেকে উঠে কানু মামার বাগানে বন্ধুদের সাথে আম চুরি করতে যাওয়ার গল্প। আজ হাজার টাকার আম কেনার সামর্থ্য রয়েছে, তবে জানি না কেন ঐ চুরি করা আমের স্বাদের সামনে আজ এক্সপোর্টেড করার আমের স্বাদটুকু ফেকসে পড়ে যায়।
         স্কুল ফেরৎ আমি না খেয়ে বন্ধুদের নানা বাহারের ডাকে (বিশেষত আমার বাবার ভয়ে বন্ধুদের ডাকার এই কৌশল ছিল ) সাড়া দিয়ে মাঠে খেলতে যাওয়ার জেদ আজও মনে পডে,আজ সময়ের কাছে সেই জেদ যেন মাথা নত করেছে।
         আর সব চাইতে মজার স্কুলের সেই বানেশ্বর স্যরের ইংরেজী ক্লাসটা ।আজও ইচ্ছে করে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে গ্রামারটা ভুল করে চলে আসি,আর সাথে স্যরের বকুনিটা যার মধ্যে হাজারো বাস্তব শিক্ষার উপদেশ থাকত যা আজও জীবনে চলার পথে অনুভব করতে পারি।
          আজ ঘর থেকে দূরে থাকলেও প্রায়ই মনে পড়ে সেই কোনো এক সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে সাইকেল করে দিগন্তে ছুটে যাওয়ার গল্প ,আজ সেই সাইকেল বাড়ির কোনো এক কোণে অভিমানের বাঁধ নিয়ে নিশ্চুপ থাকে,হয়তো আমারি অপেক্ষায় রয়েছে শত শত প্রশ্নে নিয়ে ।যেদিন আমি শহর থেকে গ্রামে ফিরব ,বাইনা ধরবে দিগন্ত ছুটে যাওয়ার।     
        আর ঠিক এভাবেই আমার অপূর্ণ গল্পের মধ্যে স্মৃতিরা নিজেদের রূপ দেওয়ার চেষ্টাতে দ্বন্দ্ব লাগায় কিন্তু কলমের ডগার জেদের কাছে তারা যেন অসহায় ,কলমের কালি তার অন্তিম পর্যায়ে যেন বিদ্রোহের শব্দ হারিয়ে ফেলে বর্ণমালার হিজিবিজির কাছে।তাই আজও স্মৃতিরা অব্যক্ত।
         বাস্তব সত্যের জগৎে সমসুরে স্মৃতিরা নিঃস্বার্থ ভাবে  জীবনে চলার পথে জড়িয়ে যায়। মাঝে মাঝে হঠ্যাৎ রোদ্দুর বিকেলে যেমন অজানা মেঘেরা পৃথিবীর বুকে নিজেদের রূপের বর্ষণ ঘটাই,ঠিক হুবুহু স্মৃতিরাও মাঝে মাঝে মনের অন্তরে বৃষ্টির ফোঁটার মতো নিজেদেরকে ঝরিয়ে সব কিছু তরতাজা করে দিয়ে চলে যাই।
         পরিশেষে -ঐ শৈশবকালের স্বর্ন যুগ যেমন আমার এই ছোটো গল্পতে অপরিসমাপ্ত,শেষ নিশ্বাস ত্যাগের আগে পর্যন্ত তারা যেন এভাবেই বাকি থাকে।



                               _আজহারউদ্দিন আনসারী

©Azharuddin(The untold writer)

childhood memories

81 View

ভালোবাসার শহর পুরূল্যা

133 View

ভালোবাসার শহর

123 View

#Feeling

#Feeling of love at first sight

103 View

স্মৃতির পাতায় 'স্মৃতি ' শব্দটা শোনার সাথেই সাথেই কেউ যেন হাজারও আগাগোড়া সুখ-দুখের চিত্র চোখের সামনে তুলে ধরল। আমার কাছে স্মৃতির স্বর্ন যুগ বলতে শৈশবকালটাকে মনে পড়ে যেখানে মায়ের আঁচল ভরা সুখের সামনে দুঃখগুলি যেন ঐ শাড়িরেই কোনো একটা কোণে পুটলিতে বাঁধা আছে,যেখানে শৈশবের অবাধ স্বাধীনতার ডাক বারবার মনকে নাড়া দিয়ে সেই পুরোনো স্মৃতির দেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে।কিন্তু বাস্তব সত্যের সময়ের খেলার সাথে যেমন নদীর গতিপথও একসময় সমুদ্রের কোনো এক মিলনস্থলে থমকে যায় ঠিক একিভাবে এই অদম্য ইচ্ছাগুলোও কোথায় যেন থমকে যাই ।এই বিরামহীন,স্বার্থপরতার মোহ আচ্ছন্ন ভরা জীবনে ঐই স্বর্ন যুগকে সাদামাটা পাতায় তুলতে চাইলে কলমের ডগাও যেন মুচলেকা দিয়ে নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করে ,তবু কলমের কালির বিদ্রোহের জেরে বর্ণমালাগুলো কিছুটা হলেও স্মৃতির ন্যয় নিজেদেরকে রূপ দিতে সক্ষম হয়েছে। আমার শৈশবকালের স্মৃতি বলতে বেশিরভাগ সময়টাই গ্রামে কাটানো।এখন পড়াশোনার খাতিরে শহরে থাকি, তাই হয়তো গ্রামের মাতৃভূমির প্রতি সর্বদা একটা আলাদাই টান থাকে,অনেকটা যেন ম্যাগনেসিয়া পাথরের অমোঘ টানের মতো ক্ষমতা সম্পন্ন ।হয়তো শহরের একঘেয়েমি,বন্দি দ্বারের মতো থমকে দাঁড়ানো বড়ো বড়ো অট্টালিকা আর হাজার হাজার কলকারখানার ধুয়ো ভর্তি আকাশের থেকে মন বিপন্ন হয়ে বারবার সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অলংকারে সাজানো গ্রামের প্রত্যেকটা রূপে মন যেন শৈশবের স্মৃতিগুলো ফিরে পেতে চাই ,তাই হয়তো এই চুম্বকত্বের টান। বিশেষত মনে পড়ে সাত সকালে পাখিদের কিচিরমিচির শব্দের তালে সূর্যি মামা যখন নিজের দায়িত্বের ভার নিয়ে পৃথিবীর বুকে বিরাজ করার চেষ্টা করে ,ঠিক সেই সময়ের পাশাপাশি মায়ের ডাক"হেইই বাবা,, তোর প্রিয় নাস্তা বানিয়ে দিয়েছি তাড়াতাড়ি উঠে খেয়ে নে তা না হলে ঠান্ডা হয়ে যাবে ।"কিন্তু মায়ের অজান্তেই সেই মিষ্টি বকুনি খাওয়ার অপেক্ষায় আবার শুয়ে পড়তাম আর ঠিক অল্পক্ষণের মধ্যেই মায়ের সেই বকুনি "দ্যখ না গিয়ে পাড়ার সব ছেলেরা মাঠে খেলছে আর তুই এখনও ঘুমিয়ে আচ্ছিস" যা আজ সবচাইতে বেশী মনে পড়ে।মনে হয় কান যেন সেই মায়ের ডাকগুলি শোনার জন্য সাত সকালে হোস্টল রুমের চার দেওয়ালে আজও প্রত্যাশাই থাকে। মনে পড়ে সেই গ্রীষ্মের বিকেলগুলিতে মায়ের অজান্তেই ঘুম থেকে উঠে কানু মামার বাগানে বন্ধুদের সাথে আম চুরি করতে যাওয়ার গল্প। আজ হাজার টাকার আম কেনার সামর্থ্য রয়েছে, তবে জানি না কেন ঐ চুরি করা আমের স্বাদের সামনে আজ এক্সপোর্টেড করার আমের স্বাদটুকু ফেকসে পড়ে যায়। স্কুল ফেরৎ আমি না খেয়ে বন্ধুদের নানা বাহারের ডাকে (বিশেষত আমার বাবার ভয়ে বন্ধুদের ডাকার এই কৌশল ছিল ) সাড়া দিয়ে মাঠে খেলতে যাওয়ার জেদ আজও মনে পডে,আজ সময়ের কাছে সেই জেদ যেন মাথা নত করেছে। আর সব চাইতে মজার স্কুলের সেই বানেশ্বর স্যরের ইংরেজী ক্লাসটা ।আজও ইচ্ছে করে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে গ্রামারটা ভুল করে চলে আসি,আর সাথে স্যরের বকুনিটা যার মধ্যে হাজারো বাস্তব শিক্ষার উপদেশ থাকত যা আজও জীবনে চলার পথে অনুভব করতে পারি। আজ ঘর থেকে দূরে থাকলেও প্রায়ই মনে পড়ে সেই কোনো এক সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে সাইকেল করে দিগন্তে ছুটে যাওয়ার গল্প ,আজ সেই সাইকেল বাড়ির কোনো এক কোণে অভিমানের বাঁধ নিয়ে নিশ্চুপ থাকে,হয়তো আমারি অপেক্ষায় রয়েছে শত শত প্রশ্নে নিয়ে ।যেদিন আমি শহর থেকে গ্রামে ফিরব ,বাইনা ধরবে দিগন্ত ছুটে যাওয়ার। আর ঠিক এভাবেই আমার অপূর্ণ গল্পের মধ্যে স্মৃতিরা নিজেদের রূপ দেওয়ার চেষ্টাতে দ্বন্দ্ব লাগায় কিন্তু কলমের ডগার জেদের কাছে তারা যেন অসহায় ,কলমের কালি তার অন্তিম পর্যায়ে যেন বিদ্রোহের শব্দ হারিয়ে ফেলে বর্ণমালার হিজিবিজির কাছে।তাই আজও স্মৃতিরা অব্যক্ত। বাস্তব সত্যের জগৎে সমসুরে স্মৃতিরা নিঃস্বার্থ ভাবে জীবনে চলার পথে জড়িয়ে যায়। মাঝে মাঝে হঠ্যাৎ রোদ্দুর বিকেলে যেমন অজানা মেঘেরা পৃথিবীর বুকে নিজেদের রূপের বর্ষণ ঘটাই,ঠিক হুবুহু স্মৃতিরাও মাঝে মাঝে মনের অন্তরে বৃষ্টির ফোঁটার মতো নিজেদেরকে ঝরিয়ে সব কিছু তরতাজা করে দিয়ে চলে যাই। পরিশেষে -ঐ শৈশবকালের স্বর্ন যুগ যেমন আমার এই ছোটো গল্পতে অপরিসমাপ্ত,শেষ নিশ্বাস ত্যাগের আগে পর্যন্ত তারা যেন এভাবেই বাকি থাকে। @আজহারউদ্দিন আনসারি

 স্মৃতির পাতায় 
     'স্মৃতি ' শব্দটা শোনার সাথেই সাথেই কেউ যেন হাজারও আগাগোড়া সুখ-দুখের চিত্র চোখের সামনে তুলে ধরল। আমার কাছে স্মৃতির স্বর্ন যুগ বলতে শৈশবকালটাকে মনে পড়ে যেখানে মায়ের আঁচল ভরা সুখের সামনে দুঃখগুলি যেন ঐ শাড়িরেই কোনো একটা কোণে পুটলিতে বাঁধা আছে,যেখানে শৈশবের অবাধ স্বাধীনতার ডাক বারবার মনকে নাড়া দিয়ে সেই পুরোনো স্মৃতির দেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে।কিন্তু বাস্তব সত্যের সময়ের খেলার সাথে যেমন নদীর গতিপথও একসময় সমুদ্রের কোনো এক মিলনস্থলে থমকে যায় ঠিক একিভাবে এই অদম্য ইচ্ছাগুলোও কোথায় যেন থমকে যাই ।এই বিরামহীন,স্বার্থপরতার মোহ আচ্ছন্ন ভরা জীবনে ঐই স্বর্ন যুগকে সাদামাটা পাতায় তুলতে চাইলে কলমের ডগাও যেন মুচলেকা দিয়ে নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করে ,তবু কলমের কালির  বিদ্রোহের জেরে বর্ণমালাগুলো কিছুটা হলেও  স্মৃতির ন্যয় নিজেদেরকে রূপ দিতে সক্ষম হয়েছে। 

       আমার শৈশবকালের স্মৃতি বলতে বেশিরভাগ সময়টাই গ্রামে কাটানো।এখন পড়াশোনার খাতিরে শহরে থাকি, তাই হয়তো গ্রামের মাতৃভূমির প্রতি সর্বদা একটা আলাদাই টান থাকে,অনেকটা যেন ম্যাগনেসিয়া পাথরের অমোঘ টানের মতো ক্ষমতা সম্পন্ন ।হয়তো শহরের একঘেয়েমি,বন্দি দ্বারের মতো থমকে দাঁড়ানো বড়ো বড়ো অট্টালিকা আর হাজার হাজার কলকারখানার ধুয়ো ভর্তি আকাশের থেকে মন বিপন্ন হয়ে বারবার সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অলংকারে সাজানো গ্রামের প্রত্যেকটা রূপে মন যেন শৈশবের স্মৃতিগুলো ফিরে পেতে চাই ,তাই হয়তো এই চুম্বকত্বের টান।
     বিশেষত মনে পড়ে সাত সকালে পাখিদের কিচিরমিচির শব্দের তালে সূর্যি মামা যখন নিজের দায়িত্বের ভার নিয়ে পৃথিবীর বুকে বিরাজ করার চেষ্টা করে ,ঠিক সেই সময়ের পাশাপাশি মায়ের ডাক"হেইই বাবা,, তোর প্রিয় নাস্তা বানিয়ে দিয়েছি তাড়াতাড়ি উঠে খেয়ে নে তা না হলে ঠান্ডা হয়ে যাবে ।"কিন্তু মায়ের অজান্তেই সেই মিষ্টি বকুনি খাওয়ার অপেক্ষায় আবার শুয়ে পড়তাম আর ঠিক অল্পক্ষণের মধ্যেই মায়ের সেই বকুনি "দ্যখ না গিয়ে পাড়ার সব ছেলেরা মাঠে খেলছে আর তুই এখনও ঘুমিয়ে আচ্ছিস" যা আজ সবচাইতে বেশী মনে পড়ে।মনে হয় কান যেন সেই মায়ের ডাকগুলি শোনার জন্য সাত সকালে হোস্টল রুমের চার দেওয়ালে আজও প্রত্যাশাই থাকে।
       মনে পড়ে সেই গ্রীষ্মের বিকেলগুলিতে মায়ের অজান্তেই ঘুম থেকে উঠে কানু মামার বাগানে বন্ধুদের সাথে আম চুরি করতে যাওয়ার গল্প। আজ হাজার টাকার আম কেনার সামর্থ্য রয়েছে, তবে জানি না কেন ঐ চুরি করা আমের স্বাদের সামনে আজ এক্সপোর্টেড করার আমের স্বাদটুকু ফেকসে পড়ে যায়।
         স্কুল ফেরৎ আমি না খেয়ে বন্ধুদের নানা বাহারের ডাকে (বিশেষত আমার বাবার ভয়ে বন্ধুদের ডাকার এই কৌশল ছিল ) সাড়া দিয়ে মাঠে খেলতে যাওয়ার জেদ আজও মনে পডে,আজ সময়ের কাছে সেই জেদ যেন মাথা নত করেছে।
         আর সব চাইতে মজার স্কুলের সেই বানেশ্বর স্যরের ইংরেজী ক্লাসটা ।আজও ইচ্ছে করে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে গ্রামারটা ভুল করে চলে আসি,আর সাথে স্যরের বকুনিটা যার মধ্যে হাজারো বাস্তব শিক্ষার উপদেশ থাকত যা আজও জীবনে চলার পথে অনুভব করতে পারি।
          আজ ঘর থেকে দূরে থাকলেও প্রায়ই মনে পড়ে সেই কোনো এক সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে সাইকেল করে দিগন্তে ছুটে যাওয়ার গল্প ,আজ সেই সাইকেল বাড়ির কোনো এক কোণে অভিমানের বাঁধ নিয়ে নিশ্চুপ থাকে,হয়তো আমারি অপেক্ষায় রয়েছে শত শত প্রশ্নে নিয়ে ।যেদিন আমি শহর থেকে গ্রামে ফিরব ,বাইনা ধরবে দিগন্ত ছুটে যাওয়ার।     
        আর ঠিক এভাবেই আমার অপূর্ণ গল্পের মধ্যে স্মৃতিরা নিজেদের রূপ দেওয়ার চেষ্টাতে দ্বন্দ্ব লাগায় কিন্তু কলমের ডগার জেদের কাছে তারা যেন অসহায় ,কলমের কালি তার অন্তিম পর্যায়ে যেন বিদ্রোহের শব্দ হারিয়ে ফেলে বর্ণমালার হিজিবিজির কাছে।তাই আজও স্মৃতিরা অব্যক্ত।
         বাস্তব সত্যের জগৎে সমসুরে স্মৃতিরা নিঃস্বার্থ ভাবে  জীবনে চলার পথে জড়িয়ে যায়। মাঝে মাঝে হঠ্যাৎ রোদ্দুর বিকেলে যেমন অজানা মেঘেরা পৃথিবীর বুকে নিজেদের রূপের বর্ষণ ঘটাই,ঠিক হুবুহু স্মৃতিরাও মাঝে মাঝে মনের অন্তরে বৃষ্টির ফোঁটার মতো নিজেদেরকে ঝরিয়ে সব কিছু তরতাজা করে দিয়ে চলে যাই।
         পরিশেষে -ঐ শৈশবকালের স্বর্ন যুগ যেমন আমার এই ছোটো গল্পতে অপরিসমাপ্ত,শেষ নিশ্বাস ত্যাগের আগে পর্যন্ত তারা যেন এভাবেই বাকি থাকে।



                                                                                                   @আজহারউদ্দিন আনসারি

স্মৃতির পাতায় 'স্মৃতি ' শব্দটা শোনার সাথেই সাথেই কেউ যেন হাজারও আগাগোড়া সুখ-দুখের চিত্র চোখের সামনে তুলে ধরল। আমার কাছে স্মৃতির স্বর্ন যুগ বলতে শৈশবকালটাকে মনে পড়ে যেখানে মায়ের আঁচল ভরা সুখের সামনে দুঃখগুলি যেন ঐ শাড়িরেই কোনো একটা কোণে পুটলিতে বাঁধা আছে,যেখানে শৈশবের অবাধ স্বাধীনতার ডাক বারবার মনকে নাড়া দিয়ে সেই পুরোনো স্মৃতির দেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে।কিন্তু বাস্তব সত্যের সময়ের খেলার সাথে যেমন নদীর গতিপথও একসময় সমুদ্রের কোনো এক মিলনস্থলে থমকে যায় ঠিক একিভাবে এই অদম্য ইচ্ছাগুলোও কোথায় যেন থমকে যাই ।এই বিরামহীন,স্বার্থপরতার মোহ আচ্ছন্ন ভরা জীবনে ঐই স্বর্ন যুগকে সাদামাটা পাতায় তুলতে চাইলে কলমের ডগাও যেন মুচলেকা দিয়ে নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করে ,তবু কলমের কালির বিদ্রোহের জেরে বর্ণমালাগুলো কিছুটা হলেও স্মৃতির ন্যয় নিজেদেরকে রূপ দিতে সক্ষম হয়েছে। আমার শৈশবকালের স্মৃতি বলতে বেশিরভাগ সময়টাই গ্রামে কাটানো।এখন পড়াশোনার খাতিরে শহরে থাকি, তাই হয়তো গ্রামের মাতৃভূমির প্রতি সর্বদা একটা আলাদাই টান থাকে,অনেকটা যেন ম্যাগনেসিয়া পাথরের অমোঘ টানের মতো ক্ষমতা সম্পন্ন ।হয়তো শহরের একঘেয়েমি,বন্দি দ্বারের মতো থমকে দাঁড়ানো বড়ো বড়ো অট্টালিকা আর হাজার হাজার কলকারখানার ধুয়ো ভর্তি আকাশের থেকে মন বিপন্ন হয়ে বারবার সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অলংকারে সাজানো গ্রামের প্রত্যেকটা রূপে মন যেন শৈশবের স্মৃতিগুলো ফিরে পেতে চাই ,তাই হয়তো এই চুম্বকত্বের টান। বিশেষত মনে পড়ে সাত সকালে পাখিদের কিচিরমিচির শব্দের তালে সূর্যি মামা যখন নিজের দায়িত্বের ভার নিয়ে পৃথিবীর বুকে বিরাজ করার চেষ্টা করে ,ঠিক সেই সময়ের পাশাপাশি মায়ের ডাক"হেইই বাবা,, তোর প্রিয় নাস্তা বানিয়ে দিয়েছি তাড়াতাড়ি উঠে খেয়ে নে তা না হলে ঠান্ডা হয়ে যাবে ।"কিন্তু মায়ের অজান্তেই সেই মিষ্টি বকুনি খাওয়ার অপেক্ষায় আবার শুয়ে পড়তাম আর ঠিক অল্পক্ষণের মধ্যেই মায়ের সেই বকুনি "দ্যখ না গিয়ে পাড়ার সব ছেলেরা মাঠে খেলছে আর তুই এখনও ঘুমিয়ে আচ্ছিস" যা আজ সবচাইতে বেশী মনে পড়ে।মনে হয় কান যেন সেই মায়ের ডাকগুলি শোনার জন্য সাত সকালে হোস্টল রুমের চার দেওয়ালে আজও প্রত্যাশাই থাকে। মনে পড়ে সেই গ্রীষ্মের বিকেলগুলিতে মায়ের অজান্তেই ঘুম থেকে উঠে কানু মামার বাগানে বন্ধুদের সাথে আম চুরি করতে যাওয়ার গল্প। আজ হাজার টাকার আম কেনার সামর্থ্য রয়েছে, তবে জানি না কেন ঐ চুরি করা আমের স্বাদের সামনে আজ এক্সপোর্টেড করার আমের স্বাদটুকু ফেকসে পড়ে যায়। স্কুল ফেরৎ আমি না খেয়ে বন্ধুদের নানা বাহারের ডাকে (বিশেষত আমার বাবার ভয়ে বন্ধুদের ডাকার এই কৌশল ছিল ) সাড়া দিয়ে মাঠে খেলতে যাওয়ার জেদ আজও মনে পডে,আজ সময়ের কাছে সেই জেদ যেন মাথা নত করেছে। আর সব চাইতে মজার স্কুলের সেই বানেশ্বর স্যরের ইংরেজী ক্লাসটা ।আজও ইচ্ছে করে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে গ্রামারটা ভুল করে চলে আসি,আর সাথে স্যরের বকুনিটা যার মধ্যে হাজারো বাস্তব শিক্ষার উপদেশ থাকত যা আজও জীবনে চলার পথে অনুভব করতে পারি। আজ ঘর থেকে দূরে থাকলেও প্রায়ই মনে পড়ে সেই কোনো এক সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে সাইকেল করে দিগন্তে ছুটে যাওয়ার গল্প ,আজ সেই সাইকেল বাড়ির কোনো এক কোণে অভিমানের বাঁধ নিয়ে নিশ্চুপ থাকে,হয়তো আমারি অপেক্ষায় রয়েছে শত শত প্রশ্নে নিয়ে ।যেদিন আমি শহর থেকে গ্রামে ফিরব ,বাইনা ধরবে দিগন্ত ছুটে যাওয়ার। আর ঠিক এভাবেই আমার অপূর্ণ গল্পের মধ্যে স্মৃতিরা নিজেদের রূপ দেওয়ার চেষ্টাতে দ্বন্দ্ব লাগায় কিন্তু কলমের ডগার জেদের কাছে তারা যেন অসহায় ,কলমের কালি তার অন্তিম পর্যায়ে যেন বিদ্রোহের শব্দ হারিয়ে ফেলে বর্ণমালার হিজিবিজির কাছে।তাই আজও স্মৃতিরা অব্যক্ত। বাস্তব সত্যের জগৎে সমসুরে স্মৃতিরা নিঃস্বার্থ ভাবে জীবনে চলার পথে জড়িয়ে যায়। মাঝে মাঝে হঠ্যাৎ রোদ্দুর বিকেলে যেমন অজানা মেঘেরা পৃথিবীর বুকে নিজেদের রূপের বর্ষণ ঘটাই,ঠিক হুবুহু স্মৃতিরাও মাঝে মাঝে মনের অন্তরে বৃষ্টির ফোঁটার মতো নিজেদেরকে ঝরিয়ে সব কিছু তরতাজা করে দিয়ে চলে যাই। পরিশেষে -ঐ শৈশবকালের স্বর্ন যুগ যেমন আমার এই ছোটো গল্পতে অপরিসমাপ্ত,শেষ নিশ্বাস ত্যাগের আগে পর্যন্ত তারা যেন এভাবেই বাকি থাকে। @আজহারউদ্দিন আনসারি

5 Love

Trending Topic