--"এখানে না। অন্য কোথাও।" হঠাৎ চুম্বন ভেঙে দিয়ে তৃষ্ণা বলল।
--"আমার ফ্ল্যাট ফাঁকা আছে, ওখানে?" অমিত নিঃশ্বাস ফেলতে গিয়ে বলল।
--"ফ্ল্যাট ইজ় বোরিং। তুমি গাড়ি বের করো আর যেখানে আমি বলব সেখানে দাড়িয়ে যেও। তাহলে তুমি যা বলবে আমি তাই করব।" তৃষ্ণা আস্তে করে অমিতের প্যান্টের উপর তার শিশ্নে হাত বুলিয়ে এগিয়ে গেল।
অমিত গাড়ি নিয়ে বেড়াল আর কোনো সময় নষ্ট না করে গাড়ি দৌড় করাল। অনেকটা এগিয়ে এসে তৃষ্ণা একটা ফাঁকা জায়গায় গাড়ি থামাল। জায়গাটা শহর থেকে একটু দুরে। রাতের অন্ধকারে বেশি কিছু বোঝা যাচ্ছে না। শুধু দুরে কিছু জায়গায় আলো দেখা যাচ্ছে। অমিত তৃষ্ণা কে ধরতে যাবে তখনই তৃষ্ণা একটু আটকে বলল।
--"খুব তারা তোমার।" একটু শয়তান হাঁসি দিয়ে অমিত তাকাল তৃষ্ণার দিকে। ওই অন্ধকারেও অমিত যেন স্পষ্ট দেখতে পারছে তৃষ্ণা কে। অমিতের বেল্ট বের করে ওর প্যান্ট নামাল তৃষ্ণা আর হাটুর ভরে বসল। অমিত কিছু বুঝতে পারত এর আগেই অমিত তীব্র একটা জ্বালা অনুভব করল। নীচে তাকিয়ে দেখল সেই সুন্দর মুখটার ওপরে অমিতের শরীরের রক্ত। তৃষ্ণা মুখ থেকে ব্লেড টা বের করে দাড়াল অমিতের সরাসরি। অমিতের শিশ্নের ওপর ভাগ থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছিল।
অমিত যতক্ষণে তৃষ্ণার দিকে এগোতো, তৃষ্ণা অমিতের মাথাটা ধরে গাড়ি তে মেরে দিল আর অমিত অচেত হয়ে নিচে পরে গেল। যখন চোখ খুলল তখন দেখল ওর হাত বাঁধা আছে দু দিকে আর গায়ে কাপড়ের একটা টুকরো নেই। সামনে তৃষ্ণা বসে আছে একটা চেয়ারে।
--"তুই কে? কি করেছি আমি তোর সাথে?" অমিতের প্রশ্নের কোনো উত্তর দিল না তৃষ্ণা। একটা ছবি দেখাল যেটা দেখে অমিতের সারা গা ঠান্ডা হয়ে গেল। যেই ও তৃষ্ণার দিকে তাকাল, তৃষ্ণা ওর গালের মধ্যে জোরে একটা ঘুষি মারে। তৃষ্ণার হাতে কাঁটা বাঁধা গ্লাভস ছিল। অমিতের গালের চামরা আর মাংস রক্তের সাথে বেড়িয়ে আসে। প্রথমে ডান গাল তার পর বাঁ গালে একেরপর এক ঘুষি চালিয়ে গেল।
--"যখন চিনে গেছিস, তখন জায়গাটি দেখ আর মনে কর।" তৃষ্ণা সারা জায়গার লাইট জ্বালিয়ে দিল। জায়গাটা দেখে অমিত ভয় কেঁপে উঠল।
--"সাল ২০২৪। এই জায়গায় তুই আর তোর চারটে বন্ধু মিলে আমার বন্ধু কে মেরে ছিলিস। রিপোর্ট অনুযায়ী শী ওয়াস ব্রুটালি রেপ্ড এন্ড মার্ডরড। প্যান্টের নীচে রক্ত খুব বেশি দৌড়ায়, তাই না!" অমিত তৃষ্ণার অন্য রুপ দেখে আরও ভয় পাচ্ছে। এদিকে তৃষ্ণা একটা চাবুক নিয়ে আসে যেটা কাঁটা তারে বাঁধা। অমিতের গায়ে বৃষ্টি পড়ল চাবুকের। অজস্র ঘা অমিতের গায়ে কিন্তু তৃষ্ণার হাত থামেনি। অমিতের চিৎকার ওকে আরও তীব্র আঘাত করার জন্য সাহস দিচ্ছে। পা থেকে মাথা পর্যন্ত অমিত ক্ষত বিক্ষত হয়ে রয়েছে। যখন তৃষ্ণা চাবুক রাখল তখন কোনো ভেজা কাপড়ের মত ওখান থেকে রক্ত পড়ছে টপ টপ করে।
অমিত প্রায় অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। ওর গায়ের সমস্ত জায়গা থেকে খুবলে মাংস বেড়িয়ে এসেছে। কান একদিক থেকে কেটে ঝুলছ আর ঝড় ঝড় করে রক্ত বয়ে চলেছে।
--"আহারে! খুব ব্যথা করছে?" চুলের মুঠি ধরে চেহারাটা নিজের সামনে নিয়ে আসল আর জলের ঝাপটা দিল।
--"যত বার তুই চোখ বন্ধ করবি, তোর মৃত্যু আরও কষ্টকর করব।"
©Ananta Dasgupta
Continue with Social Accounts
Facebook Googleor already have account Login Here