লকডাউনে চাকরি চলে যাবার পর থেকে দীর্ঘদিন চাকরিহীন মেঘ। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস অনেক চেষ্টা করেও, অনেক জায়গা ঘোরাঘুরি করেও কোনো চাকরি জোটাতে পারলোনা। অন্যদিকে পুঁজির অভাবে কোনো ব্যবসাও শুরু করতে পারল না। এদিকে বাড়িতে পাঁচটা পেট। বাবা দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে বিছানায় শয্যাশায়ী। ছোট বাচ্চার মুখে একটু দুধ তুলে দিতেও পারছে না। সারাদিন এদিকওদিক ঘুরে বেড়ায় পাগলের মতো কাজের আশায়। আর দিনের শেষে রাত্রিবেলায় চোরের মতো বাড়ি ফেরে। শেষ সম্বল বউ এর গয়নাগুলোও বিক্রি করতে হয়েছে। মাঝে মাঝে ভাবে সবাইকে মেরে নিজেও আত্মহত্যা করে এই যন্ত্রণার থেকে মুক্তি খুঁজে নেবে। কিন্তু সেটা তো কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। নিজের ব্যর্থতার দায়ভার সে তার পরিবারের ওপর কিভাবে চাপাতে পারে! তাই আপাতত পরিবারকে বাঁচাতে যন্ত্রণা বুকে চেপে, অনেক কষ্ট করে বানানো ছোট্ট বাড়িটা বিক্রি করে দিল। আগামীকাল থেকে বাড়ির নতুন মালিক বাড়িতে থাকা শুরু করবে। তাই শেষবারের মতো বাড়ির প্রতিটা কোনাকে নিজের করে অনুভব করার জন্য, বাড়ির নতুন মালিককে অনুরোধ করলো "আজ কি এখানে রাতের অতিথি হয়ে থাকতে পারি, কাল ভোরেই চলে যাবো....."
©Ayan Guin
Continue with Social Accounts
Facebook Googleor already have account Login Here